২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রিয়জনের আনন্দ আয়েজন বার্ষিক বনভোজন

-

নয়া দিগন্তের পাঠক পাতা ‘প্রিয়জন’-এর বার্ষিক বনভোজন অন্য বছরের মতো এ বছরও আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রিয়জন পাতা গঠনের পর থেকেই প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রিয়জনেরা ভ্রমণ করে থাকেন। এবারে তাদের আনন্দ ভ্রমণের স্থান ছিল ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ও প্রাচীন নগরী পানাম সিটিতে।
প্রিয়জন সভাপতি শাফি হায়দারের নেতৃত্বে বনভোজনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই যেন প্রিয়জনদের মধ্যে আনন্দ-উৎসবের একটা সাজ সাজ রব পড়ে যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার বনভোজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রিয়জনরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। নির্ধারিত তারিখের আগেই নাশতা ও দুপুরের খাবারের জন্য রেস্টুরেন্ট বুকিং দেয়া হয়। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কলাপাতা রেস্টুরেন্টে সকাল ৯টায় নাশতা করার কথা থাকলেও দোহার প্রিয়জন রাজু ইসলামের বিলম্বের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বেলা সাড়ে ১০টায় নাশতা সেরে গাড়ি নিয়ে দলবেঁধে সবাই সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ও প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাই। অবাক বিস্ময়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে থাকি সবাই। দোহার প্রিয়জন শওকত আলি রতন তার এসএলআর ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে সদাপ্রস্তুত ছিলেন। ঘোরাঘুরি শেষ করে লাঞ্চের জন্য দুপুরে পূর্বনির্ধারিত জায়গায় একত্রিত হই সবাই। মূল গেটের কাছাকাছি হোটেল ঈশাখাঁয় দুপুরে বুফে সবাই পেট ভরে খেয়ে মাত্র ১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে আবার পানাম নগরীর দিকে দেই ছুট। পানাম নগরী গিয়ে সবার চক্ষু স্থির হয়ে আসে। শত বছরের পুরনো দালানের স্থাপত্যশৈলী দেখে সবার মন ভরে যায়। ভ্রমণ শেষে আর যেন ফিরতে ইচ্ছে করছিল না। তবুও নিয়ম অনুযায়ী ফিরতে হয়। চোখ আর মন ভরা সোনারগাঁও-পানাম নগরের স্মৃতি নিয়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই।
প্রিয়জন পাতা মূলত একটি পাঠক পাতা। নতুন-পুরনো সব লেখকদের জন্যই উন্মুক্ত থাকে এ পাতা। নবীন লেখক সৃষ্টি করাই এ পাতার মূল লক্ষ্য। বিগত সময়ে অসংখ্য লেখক সৃষ্টিও হয়েছে এ প্লাটফর্ম থেকে। প্রিয়জনদের একটি সাংবিধানিক কমিটি আছে। তারা লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আর্তমানবতার সেবা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকেন। যেমনÑ শীতবস্ত্র বিতরণ, হেলথ ক্যাম্প, বৃক্ষরোপণ অভিযান ইত্যাদি। গত বছর মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক মুসলিম গণহত্যা থেকে রক্ষা পাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রিয়জনেরা নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।
কেন্দ্রীয় প্রিয়জন, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement