২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভাস্কর্যে বাংলার বিজয়গাথা

-

স্বাধীনতা সংগ্রাম

স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাসকে ধারণ করে নির্মিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। শামীম শিকদার এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল ও বুয়েটসংলগ্ন সড়ক দ্বীপে বাংলাদেশের ইতিহাসের ধারক স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি স্থাপিত। ভাস্কর শামীম শিকদার ১৯৮৮ সালে ফুলার রোডে অবস্থিত সেকেলে বাংলো স্টাইলের বাড়ির (বর্তমানে প্রোভিসির ভবন) সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ‘অমর একুশে’ নামে একটি বিশাল ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করেন। ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক ঘরোয়া পরিবেশে মরহুম অধ্যাপক আহমদ শরীফ এটি উদ্বোধন করেন। ১৯৯৮ সালে ওই স্থানে উদয়ন স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হলে ভাস্কর্যটি স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়। ভাস্কর্যটি সড়কদ্বীপে এনে রাখা হয়। পরে ভাস্কর শামীম শিকদার ওই ভাস্কর্যটির অবয়ব পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ নাম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আলোকে নতুনভাবে নির্মাণ করেন। একই সাথে সড়কদ্বীপটিকেও তিনি নিজের মনের মতো গড়ে তোলেন। ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন।
‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্যটি বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাসকে ধারণ করে নির্মিত। এ ভাস্কর্যটি মহান ভাষা অন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬-র স্বাধিকার আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান, ২৫ মার্চের কালরাত, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা, ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলনে নিহত হয়েছেন এমন ১৮ জন শহীদের মুখাবয়ব দিয়ে পুরো ভাস্কর্য নির্মিত। সবার নিচে ভাষা শহীদের ভাস্কর্য এবং সবার উপরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যে আরো তুলে ধরা হয়েছে লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতীক আমাদের লাল সবুজের পতাকা।
মূল ভাস্কর্য স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঘিরে রয়েছে দেশ-বিদেশের শতাধিক কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, বিপ্লবী, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীর আবক্ষ মোট ১১৬টি ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্যের কোনোটি একক, কোনোটি যুক্ত। এর সবই শামীম সিকদারের গড়া। কারো কারো ভাস্কর্য অপূর্ব ভঙ্গিমায় উপস্থাপিত। এখানে বঙ্কিমচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, জগদীশ চন্দ্র বসু, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, ড. মো: শহীদুল্লাহ, শিল্পী সুলতান, জিসি দেব, সুভাসচন্দ্র বসু, কামাল আতাতুর্ক, মহাত্মা গান্ধী, রাজা রামমোহন রায়, মাও সে তুং, ইয়াসির আরাফাত, কর্নেল ওসমানী, তাজউদ্দীন আহমদ, সিরাজ সিকদার প্রমুখের প্রতিকৃতি রয়েছে। ভাস্কর শামীম শিকদারেরও দুটি প্রতিকৃতি রয়েছে। আরো রয়েছে একটি হাতির চিত্তাকর্ষক ভাস্কর্য।
সব ভাস্কর্যের রং শ্বেত শুভ্র। শ্বেত বর্ণের এ ভাস্কর্যের উচ্চতা ৭০ ফুট। পরিসীমা ৮৫.৭৫ ফুট। একটি গোলাকার ফোয়ারার মাঝখানে এটি উপস্থাপিত। মূল ভাস্কর্য ছাড়া অন্য ভাস্কর্যগুলোর গড় উচ্চতা ৩-৪ ফুট।
বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্য
মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা ছিল বলিষ্ঠ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করার যে প্রয়াস চালিয়েছিল তাতে আক্রান্ত হয়েছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি বড় অংশ ঘাঁটি গেড়ে বসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ সময় যেসব বীরপুরুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে দেশ স্বাধীনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আমাদের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক হবিবুর রহমান অন্যতম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ১৫ এপ্রিল ব্রিগেডিয়ার আসলাম ও কর্নেল তাজের নেতৃত্বে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সর্বোচ্চ ত্যাগের সম্মানে তার নামানুসারে একটি হলের নামকরণ করে। এরপর তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতার যুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন তাদের স্মৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে রক্ষিত করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হবিবুর রহমান হলে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। এই ভাস্কর্যটির নাম ‘বিদ্যার্ঘ’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল গেট থেকে প্রায় ২০ ফুট সামনে ভাস্কর্যটির নির্মাণ স্থান। এটি নির্মাণ করতে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। মহান ২৬ মার্চ, ২০১১ ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়। ভাস্কর্যটির স্থপতি হলেন শাওন সগীর সাগর। লম্বা আকৃতির দু’জন মুক্তিযোদ্ধা। যাদের একজনের হাতে একটি বন্দুক আর অন্যজনের হাতে রয়েছে কলম। ভাস্কর্যটিতে বন্দুকের চেয়ে কলমের উচ্চতা উপরে দেখানো হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য একজন বন্দুক হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন আর অন্যজন যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন কিন্তু অস্ত্র দিয়ে নয়। তিনি যুদ্ধ করেছেন কলমের মাধ্যমে এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এখনও যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তাই কলমসৈনিক বা বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান একজন অস্ত্রধারী যোদ্ধার চেয়ে অনেক উপরে। যা শিল্পী তার ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এই দু’জন যোদ্ধার নিচে রয়েছে শহীদ হবিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য। আবক্ষ ভাস্কর্যটি সাদা রঙের। দেখে মনে হয় এটি বর্তমান প্রজন্মের জন্য আলো ছড়াচ্ছে। এগুলো মূলত দাঁড়িয়ে আছে একটি ষষ্ঠভুজের ওপর। কালো রঙের এই ষষ্ঠভুজটি দ্বারা বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি বিষয়কে বুঝানো হয়েছে। প্রথম ভুজটি বাঙালি জাতিকে আন্দোলনের জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এখানে গ্রাম এবং শহরের মানুষের কথা বলা হয়েছে যারা সবাই একজাতি হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এরপর দ্বিতীয় ভুজটিতে স্থান দেয়া হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। মাতৃভাষার দাবিতে বাংলা মায়ের সন্তানদের বুকের তাজা রক্ত দেয়ার কথা জানাচ্ছে এটি। তাদের স্মরণে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সর্বস্তরের বাঙালিসহ বিশ্ববাসী।
এরপর তৃতীয় ভুজটিতে স্থান পেয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ। বাংলার পবিত্র মাটি যখন পাকিস্তানি বাহিনী দিয়ে আক্রান্ত হলো তখন বাংলা মায়ের দামাল সন্তানেরা কিভাবে তাদের এই বাংলার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল তারই চিত্র ফুটে উঠেছে এখানে। এর পর চতুর্থ ভুজটিতে স্থান পেয়েছে ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড। যে দিনে বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। যেই দিনটিকে আজ আমরা শহীদ বুদ্ধজীবী দিবস হিসেবে পালন করি। এরপর পঞ্চম ভুজটিতে স্থান পেয়েছে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের চিত্র। দেশ স্বাধীন করার জন্য যেসব বীর পুরুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে তাদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে দেশে অসংখ্য শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধ। যেখানে স্বাধীন বাংলার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছে। আর শেষ ভুজটিতে স্থান পেয়েছে বাংলার একটি ইতিহাসগ্রন্থ।
এই ইতিহাস গ্রন্থের পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে শ্রদ্ধাভাজন শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক হবিবুর রহমানের নাম এবং ভাস্কর্যটির নাম ‘বিদ্যার্ঘ’। বইটির উপরে একটি সূর্য রয়েছে যা বাঙালি জাতিকে আজো আলো এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিয়ে যাচ্ছে। এই ষষ্ঠভুজ পোড়া মাটির দ্বারা তৈরি। ষষ্ঠভুজটিকে আবার একটি গোলাকার বেষ্টনী দ্বারা আবদ্ধ করা হয়েছে। গোলাকার বেষ্টনীটির এক পাশে রয়েছে ষষ্ঠভুজ, অপর পাশে একটি প্রাচীর। গোলাকার বেষ্টনীটি লাল রং দিয়ে সজ্জিত। লাল রঙের মাঝে আবার কিছু কিছু জায়গায় সুবজ রঙের জীবন্ত ঘাস দেয়া হয়েছে। লাল রঙটি শহীদ হবিবুর রহমান হলকে নির্দেশ করছে (হলের কক্ষগুলোর বাইরের দিকের রং লাল) এবং লাল ও সবুজ রং একত্রে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে নির্দেশ করছে। এর বাইরের দেয়ালটি মূলত লোহার বাঁকানো শিকল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। লোহার শিকলগুলো একটির সাথে আরেকটি এমনভাবে লাগানো যেন অনেক মানুষ একজন আরেকজনের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এ মানুষগুলো এ দেশের নতুন প্রজন্ম। যারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পাহারা দিচ্ছে ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মানের সাথে ঘিরে রেখেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটিই প্রথম নির্মিত ভাস্কর্য। দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন মূলত তাদের স্মৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের চেতনাগত দিকও তুলে ধরা হয়েছে, যা থেকে আজকের প্রজন্ম শিখবে।
জাগ্রত চৌরঙ্গী
জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত একটি ভাস্কর্য। এটি ১৯৭৩ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক নির্মাণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।
ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খালি গা, খালি পা আর পেশিবহুল এ ভাস্কর্যটি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত।
ভিত বা বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাঁ হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উৎকীর্ণ করা আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি

সকল