আগডুম বাগডুম কবিতাবলী
- ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
সোনার স্বদেশ
প্রজীৎ ঘোষ
বাংলা আমার সোনার স্বদেশ
ফুল ফসলে ভরা;
বাংলা আমার রূপ লাবণ্যে
হৃদয় পাগল করা।
বাংলা আমার সোনা রঙ ধান
চাষির গোলা ভরে;
বাংলা আমার সবুজ মাঠে
সুখের বৃষ্টি ঝরে।
বাংলা আমার শত নদীর
মোহনীয় এক ছবি;
বাংলার এত রূপ যৌবনে
মুগ্ধ হয়েছে কবি।
বাংলার আকাশ সুনীল ছায়ায়
মেঘেদের হাতছানি;
মায়ের মতন বাংলার হাসি
চোখে এনে দেয় পানি।
দড়ির সাপ
শামীম খান যুবরাজ
আমি কাঁপি ওরা কাঁপে
থরথরিয়ে ডোরা কাঁপে
ঢোঁড়া সাপের লেজ দেখেÑ
গাছের সাথে পেঁচ দেখে।
লাঠি হাতে ছুটলো তমা
সাপ পাবে না আজকে ক্ষমা
করবো তাকে ফিনিশ,
কিন্তু একি! মারের ছোটে
নড়ছে না যে একটু মোটে
সাপটা কেমন জিনিস!
কাণ্ড দেখে হাসেন দাদু
‘সাপ না ওটা দড়ি’
লাজুক তমা ক্ষমা চেয়ে
বলছে, ‘দাদু স্যরি’।
বিজয়
মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী
বিজয় মানে সদ্য ফোটা
পবিত্র এক ফুল
স্বচ্ছ জলের ধারা এবং
জীবন নদীর কূল।
বিজয় মানে রক্তে আঁকা
লাল-সবুজের নিশান
কোটি প্রাণের স্বপ্ন আশায়
ভালোবাসা মিশান।
বিজয় মানে স্বাধীনতার
চেতনা ও মান
বীর বাঙালির বীরত্ব আর
অর্জিত সম্মান।
বিজয় মানে ছেলেহারা
মায়ের চোখের জল
কষ্টে পাওয়া রক্তে কেনা
সুমিষ্ট এক ফল!
হেমন্ত আজ
আবুল হোসেন আজাদ
শিশির ভেজা মিষ্টি সকাল হালকা হিমেল বাতাস
কোথাও নেই মেঘের ফালি স্বচ্ছ আলোর আকাশ।
কৃষকেরা কাস্তে হাতে কাটছে যে ধান েেত
হেমন্তের এই নবান্নতে উৎসবেতে মেতে।
ঝাঁকড়া মাথার ছাতিম ডালে থোকা থোকা ফুল
ফুলের ঘ্রাণে পাখির গানে মন করে আকুল।
মৌন এখন উছল নদীর উথালপাথাল ঢেউ
জুড়াবে চোখ ভরাবে প্রাণ দেখ যদি কেউ।
গাঁয়ে গাছির খেজুর রসের নলেন গুড়ের ধুম
শীতের পাখি আসার শুরুর এলো যে মৌসুম।
কুয়াশার ওই চাদরে মুখ ঢাকে রাঙা ভোর
হেমন্তের আজ মন রাঙিয়ে বাঁধে খুশির ডোর।
অতিথি পাখি
সালাম হাসেমী
দূরের দেশের পাখি আসে
হাওয়ায় ভেসে ভেসে,
অতিথি সব পাখি এরা
আমাদের এই দেশে।
তারা সবাই বজায় রাখে
প্রকৃতির ভারসাম্য,
হত্যা করা তাদের যেন
হয় না কারো কাম্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা