২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক সকালে সিলেটের ইকোপার্কে

-


ডিপার্টমেন্টে এখনো ক্লাস শুরু হয়নি পুরোদমে। অ্যাডমিশনের পর এই অল্প দিনে তেমন কারো সাথে পুরোপুরি বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। গ্রুপ স্টাডির জন্য ভালো কয়েকটা বন্ধু দরকার।
অন্তু দার সাথে কথা বলে একটা ভালো আইডিয়ার সন্ধান মিলল। কোথাও বেড়াতে যাওয়া যায়।
বিষয়টি ডিপার্টমেন্টে জানালে আগ্রহী পাঁচ-ছয়জনকে পাওয়া গেল। হোয়াটস অ্যাপে একটা গ্রুপের মাধ্যমে কথাবার্তা চলল, ডিসিশন ফাইনাল।
ইকোপার্ক আমাদের ক্যাম্পাসের কাছাকাছি। হেঁটে যেতে আধা ঘণ্টা লাগবে। আর বৃহস্পতিবার ক্লাস সাড়ে ১২টায়। সিদ্ধান্ত হলো ৯টায় রওনা দেবো।
রাত থেকেই ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। সকাল ৯টা বাজার আগে আগেই বাসা থেকে বের হলাম। ও মা, ক্যাম্পাসে সব রেডি। কয়েকটা নতুন মুখও।
ইকোনমিক্স থেকে মাইগ্রেশন করে ফাতেহা ইংলিশে গেলেও প্রথম দিনের পরিচয় ছেড়ে যায়নি। সবার কাছেই সে কম দিনে পরিচিত হয়েছে। ভীষণ রকম বন্ধু টাইপের মেয়েটি। ওর সাথে এসেছে আরমিন। আর আমাদের ডিপার্টমেন্টের অন্তু, মিসবাহ, রামিম, তালহা, আকছার, রেশমি, ইমা ও তপু। ১১ জনের টিম। সদলবলে হেঁটে রওনা দিলাম।
আজকের বেড়ানোর মূল টার্গেট সবার সাথে সবার পরিচয় আর বন্ধুত্ব পাকাপোক্ত করা।
পথে পথে গল্প আর আড্ডা দূরত্ব যেন কমিয়ে দিলো। টিকিট নিয়ে আমরা ঢুকে পড়লাম ভেতরে।
শহরের মাঝখানে প্রায় ১১১ একর জায়গা জুড়ে এমন গাছ-গাছালির সমাহার, স্নিগ্ধ বাতাস আর মিষ্টি রোদ মন ভালো করার মতো। এখানকার চিরসবুজ প্রকৃতিতে আমরা ক’জন যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে হাঁটছি। একে একে জেব্রা, চিত্রা হরিণ, ময়ূর, গোল্ডেন ফিজেন্ট পাখি, সিলভার ফিজেন্ট পাখি, ম্যাকাও পাখি, আফ্রিকান গ্রে প্যারট, সান কানিউরি, ছোট লাভ বার্ড ও অজগর দেখা হলো।
এখানকার পাখিদের ওড়াউড়ি আর কল-কাকলি অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। ইকোপার্কে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের আচরণ খুবই ভালো লাগল। এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগমও পড়ল চোখে। এতক্ষণে রোদ কড়া হতে শুরু করেছে। অনেকক্ষণ হাঁটায় কিছুটা ক্লান্তির সৃষ্টি হলো। এবার বসার পালা। রোদমুক্ত দেখে একটা জায়গা বাছাই হলো। বসা হবে এক্ষুনি। ততক্ষণে ফাতেহার ওয়াটার পট খালি করে দিয়েছে রামিম।
কিছু খেলাধুলা দরকার। আমরা এখন কানামাছি খেলব। প্রথমেই ধরা পড়ল মিসবাহ। কানামাছি ভোঁ ভোঁ কানামাছি ভোঁ ভোঁ বলতে বলতে ওকে ঝালাপালা করে দিলো সবাই। তবে রেহাই পায়নি কেউ, সবাই ধরা পড়েছে একবার করে। সবার মন ভালো হয়ে গেল।
ক্লাসের সময় কাছাকাছি, এক্ষুনি ফিরতে হবে। দুটো সিএনজি করে আমরা ছুটলাম ক্যাম্পাসের দিকে। অল্প সময়ে বেশি ভালো লাগার সুযোগ হয়েছে আজকের বেড়ানোতে। আর জায়গাও ছিল দারুণ। সব মিলিয়ে আজকের বেড়ানো সবার মন সতেজ করেছে। আজ থেকে আমরা সবাই বন্ধু।
অর্থনীতি বিভাগ, মুরারিচাদ, সিলেট

 


আরো সংবাদ



premium cement
মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’ মিলান ডার্বি জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার ইন্টারের কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকের বড় ভাই উদ্ধার মালয়েশিয়ায় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ১০ নৌ-সদস্য নিহত প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে কাতারের আমির

সকল