হা সা ন হা ফি জে র এ ক থো কা ছ ড়া
- ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
যায় না সময়
ছড়ার ছবি আঁকতে গিয়ে
দুধ দিয়ে ভাত মাখতে গিয়ে
বাধিয়ে ফেলি গণ্ডগোল
পাল্টাতে চাই পুরনো বোল
দুধ ভেবে কি খাচ্ছি ঘোল?
ঘোল খাওয়া কি এত্ত সোজা
উচিত ছিল আগেই বোঝা।
বুঝতে বুঝতে দিন কাবার
বুঝব পরে কাল আবার।
ছবি আঁকার বাকশো রঙের
গড়িয়ে পড়ে সর্বনাশ,
বিছনা-মেঝের বাজল বারো
হচ্ছে কি ভাই রঙের চাষ?
দুধ দিয়ে যে ভাত মাখাবো
সেই দুধেতে ভেজাল রয়
জাউ হলো ভাত চুলার ওপর
চার দিকেতেই দুঃসময়।
হয়তো সুদিন আসতে পারে
তেমন দিনের অপোয়
ধুঁকতে ধুঁকতে এতটা কাল
সময় বড় আস্তে যায়।
মাছরাঙা খুশি খুশি
কেঁচো গেলেন মাছ ধরতে
মাছের খাবার তিনি
মাছের পেটে ঢোকার পরে
নাচেন রিনিঝিনি।
মাছ করেছে হাঁ,
কেঁচো তখন বেরিয়ে আসেন
অগাধ জলে হঠাৎ ভাসেন
এ কী কাণ্ড মা!
মাঝপুকুরে নড়ন চড়ন
নতুন সে সংসার
আপনা-স্বজন নেই কোনো জন
দুঃখেরই কারবার।
ঠিক করেছেন এইখানেতে
নয় রে থাকা আর
যেই করে হোক পৌঁছতে হবে
এই পুকুরের পাড়।
ভেসে উঠলেন যেই
মাছরাঙা এক ছুটে এলো হেই।
এক লহমায় কেঁচো তখন
অক্কা পেল হায়
মাছরাঙাটার পেট ভরেছে
খুশিতে গান গায়।
ঠাণ্ডা মাথায় খেলো
মার ছক্কা চারের মার
বল ছুটে যাক
মাঠের বার
জোর ছক্কা আবার চার।
ক্যাচ দিয়ো না ক্যাচ
বেহাত হবে ম্যাচ।
সাবধানে বল মারো
রান দরকার আরো।
ঠাণ্ডা মাথায় খেলো
সুযোগ যখন এলো,
ম্যাচটা হবে জেতা
সাধ্যি ঠেকায় কে তা?
রানের বন্যা দাও ছুটিয়ে
তুমিই ম্যাচের নেতা।
জলদি তাড়াও
রোগী দেখতে গিয়েছিলাম
সঙ্গে কিছু ফল
খালি হাতে যায় না যাওয়া
এটাই নাকি চল।
রোগীর পে সম্ভব না
সে ফল চেখে দেখা
ভুগছে রোগী কষ্টে করুণ
দুর্ভোগে সে একা।
স্বজন আছে ডজন ডজন
তারাই খেলে ফলÑ
টসটসে ফল দেখলেই জিভ
খুশিতে ঝলমল,
কলার খোসায় ভর্তি মেঝে
কাজটা বাজে বল
কোন ভিজিটর আছাড় খাবেন
খোসা যে পিচ্ছল।
যেমন ভাবা ঘটলও তাইÑ
রোগী বললেন দাঁড়া,
পেটুক স্বজন দরকার নাই
সব ক’টাকে তাড়া।
গোমড়া মুখে স্বজনরা সব
বিদেয় হলো ভাই
ভাগ্যে তাদের ফল চাখবার
দ্বিতীয় চান্স নাই।
ইদ্রিস সরকার
তিতাস নদীর বাঁকে
খোদেদাউদপুর গ্রামটি আছে তিতাস নদীর বাঁকে
নদীটি তার চলার ছন্দে নানান ছবি আঁকে।
নদী তো নয় সোনা-রুপা মহান খোদার দান
মায়ের মতো লালন করে বাঁচায় সবার প্রাণ।
পলি মাটি দিয়ে ভরে দুই কূলজুড়ে মাঠ
সোনার ফসল তাতে ফলে ধান কলাই ও পাট।
মাঝি ভাইয়ের কণ্ঠে বাজে ভাটিয়ালি গান
রঙ-বেরঙের পাল উড়িয়ে বৈঠাতে দেয় টান।
নদীর পাড়ে গড়ছে কত গেরাম গঞ্জ হাট
বি. বাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর হোমনা বাজার ঘাট।
রুপা নদীর রুপা রঙে জুড়ায় মনোপ্রাণ
বাঁশ বাগানের ছায়ায় বসে গাই জীবনের গান।
ছবির মতো তিতাস নদী দেখতে এসো এই
এমন রূপের নদী যেন পৃথিবীতেই নেই।
রকি গৌড়ি
অদ্ভুত ভূত
টিঙ টিঙে রোগা গাল চোখ শুধু একটা
লোমে ভরা দেখা যায় পেট আর পিঠটা
হাত দুটো উল্টো মাথা তার ন্যাড়া
ভাগ্যে একটা চোখ সেটাও তো ট্যাড়া।
অট্টহাসিতে তার শির শির হাঁপানি
কুমফু কারাতে পারে মনে হয় জাপানি
শয়তানি বুদ্ধি দিয়ে চলে টাটকা
অভ্যাস পালটাতে লাগে তার খটকা।
ভেবে দেখি সত্যি অদ্ভুত ভূতটা
সব থেকে অদ্ভুত মনের ওই ভূতটা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা