২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রি য় জ ন প ঙ্ ক্তি মা লা

-

রাজু ইসলাম
প্রাত্যয়িক

স্থির অবয়বে তোমার অবিশ্বাসী চোখ
প্রাণাধিক প্রিয় প্রাত্যয়িক সময়গুলোÑ
চেতনাহীন ডুকরে বাতাসকে বিষাক্ত করে তোলে
প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমার অবিশ্বাসের আঙুল।
অতি নির্মল বিনয়াবনত চিত্ত অন্তরিন্দ্রিয় তোমার
ইত্যবসরে লোপ পেয়ে সমাপকে পরিণত।
নিয়ত পর্যাসে পরাভূত সন্তপ্ত হৃদয় আমার
ক্রমশ লয়প্রাপ্ত স্বপ্ন বিবর্জিত অন্তর।
প্রণিত হয় বাদানুবাদের অজস্র সূত্র
কুহকে তোমার পরিশ্রান্ত হৃদয় হয় বিনিদ্র,
ক্রমান্বয়ে সূচিত হতে থাকে দিগন্তসম দূরত্ব;
কৃপার আরাধনা ভ্রমে তুমি হও সংশয়িতা।

 

সুমন আহমেদ
স্বার্থপর

পৃথিবী স্বার্থপর নয়Ñ স্বার্থপর পৃথিবীর
কিছু কিছু মানুষ; যাদের সময়ের
সাথে সাথে হয়ে যায় আকাশ বদল; আরÑ
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ভুলে যায় অতীত।
তারা স্বার্থ হলেই কারো বসন্ত জীবনে
বয়ে দিতে পারে কালবৈশাখী;
যেই কালবৈশাখী শুধু ভাঙতেই জানেÑ
গড়তে জানে না; নিতে জানেÑ দিতে জানে না।

 

শিশির মাহমুদ
বাসন্তিরাঙা জোছনার খোঁজে

ও মেঘ, তুই নিবি আমাকে
তোদের সাথী করে!
আমি বাসন্তিরাঙা জোছনা দেখবো তোদের চোখে।
শ্বেতশুভ্র চিনেমাটির বেসিনে জমাট বাঁধা কষ্টগুলো-
যখন নীরবে আছড়ে পড়ে;
তখন বিমূর্ত হয় আমার শব্দেরা,
অনুভূতিরা হয় অবনত।
রেললাইনের সিøপারেÑ
আমার যে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয়!
তুই বোধ হয় জানিস না।
রোজ রোজ কালো ছায়াটার সাথে
কথা বলতে ভাল্লাগেনা আর।
কী করে বোঝাই তোকে বলÑ
মোটা ফ্রেমের কালো চশমাটায় যে বিঁধে আছে
অবিমিশ্র যন্ত্রণার এক তীক্ষè কাঁটা।
চাপা আবেগগুলো যতবার এঁকেছি আমি
ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে,
অদৃশ্য এক গণ্ডিতে
ঠিক ততবার আটকে ফেলেছে আমাকে।
লালচে বাতির ছোট্ট ফাস্টফুডের দোকানে
ঝরা বকুলের মতো না হয় পড়েই থাকুক কিছু স্মৃতি।
যখন থোকা থোকা কান্না
জমে জমে শিশির হবে;
তখন কি ফাল্গুনী হাওয়ার মতো করে
হিমেল পরশ দিবি আমায়?
ও মেঘ, তুই নিবি আমায় তোদের সাথী করে!
আমি বাসন্তিরাঙা জোছনা দেখবো তোদের চোখে।

 

শাহিদ উল ইসলাম
ঝিনুকন্তর

ভাবনার বীজ মস্তিষ্কে বপন করি আর
অপেক্ষার প্রহর গুনি
অতঃপর ভাবনারা অঙ্কুুরিত হয়ে
পত্র পল্লব-শাখায় কবিতার জন্ম দেয়।
কবিতা আহা কবিতা!
তোমার কথা মনে হলেই কেবলই দীর্ঘশ্বাস
জন্মদাতা জন্মদাত্রীর কুঁচকে ওঠা কপাল
সহযাত্রীর একগাল খিস্তি
আড়ালে বন্ধুদের অবজ্ঞার হাসি সয়ে
তবুও তোমায় ভালোবাসি আর
ভালোবাসি বলেই তোমার এত দেমাগ;
সহসা দাওনা ধরা
মুক্তা হয়ে থাক লুকিয়ে ঝিনুকান্তরে।


এমডি নোমান
হৃদয় পোড়াও নারী

হে নারী!
নিরর্থক গর্ব তোমার
মনটায় রাখো স্বার্থের প্রাচুর্য।
নিজের মূল্য দিতে জানো না
অপরাধহীনে বলো অপরাধী?
চাও- যশ,খ্যাতি,ঐশ্বর্য্য?
পূর্ণিমা চাঁদের মতো
তোমার হৃদয় ভরা কালো দাগ,
চাইলে প্রেম সুন্দরী তুমি
অথচ চিত্তভরা নিরব অনুরাগ।
হৃদয় পোড়াও নারী!
বুঝেছি সব তোমার ছলনা;
তুমি ভুল করো না
ভাসাও হাসিতে,
গোধূলি হতে শত পুরুষ
নীরবে কাছে ডেকে
অবশেষে দূরে,
লুকাও বিত্তবানের বাহুতে।
রায়নগর,বগুড়া

 


শাহীন রায়হান
আমি ইরেজার হবো

আমি ইরেজার হবো তোমার হৃদপিণ্ডর শিরা উপশিরায়
ধমনীর প্রতি রক্ত বিন্দুতে।
ইরেজার হবো মস্তিষ্ক নিউরনে বেলা অবেলায়
তোমার স্বপ্নবিলাসে প্রতিটি পদক্ষেপে
আমি ইরেজার হবো নিঃসঙ্গতার আর্তনাদে
নিঝুম রাতের কান্না বিলাসে অন্তহীন শব্দ, বাক্য, কথায়।
ইরেজার হয়ে মুছিয়ে তোমার রক্ত আবির দুঃখগাথা
ধ্রুবতারা হয়ে থাকব বেঁচে অনন্তকাল
তোমারই আকাশে।

 

 


শফিকুল ইসলাম শফিক-এর কবিতাগুচ্ছ
খুঁজি তোমায়

চাওয়া পাওয়ার ইচ্ছেটাও
আজকাল হতাশার ঘূর্ণিঝড়ে হাবুডুবু খায়।
বুকের জমিনে হাওয়া ঘুড়ি উড়ে
না পাওয়ার বৃষ্টিজলে
একাকী ভিজে যায় প্রেমিক মন।
মরুভূমির বুকে ধূলি ঝড়ের মতো
আমিও ঝড়ে পরি তিন প্রহর,
দিবারাত্রি বাতাসের গায়ে লিখি প্রণয়ের গান।
বিষণœতায় খুঁজি ফিরি সাত্ত্বিক সুখ,
আর কতকাল একমুঠো প্রেমের কাঙাল হয়ে
ঘরে ফিরব শূন্য হাতে?
আনমনে প্রতিক্ষণ আমার সাথেও
ঝিঁঝিঁ পোকার মিছিল চলে।
আমাকে মাতিয়ে তুলে করুণ সুরের
মূর্ছনায় আর আবেগে।
ভালো মন্দের সমীকরণে
খুঁজে দেখি না অন্তঃপুরের ব্যথা,
সাজাতে চাই স্বপ্নের বাসর।
ইচ্ছে করে এক জনমে বারেবার
তোমার-ই কাছে ফিরে যেতে!

 


বৃষ্টি

বৃষ্টি
তুমি কি আমার বিষাদের গন্ধ ধুয়ে দেবে?
তোমাকে ঝরে পড়া কদম কেয়ার ছোঁয়া দেবো।
তুমি কি আমার তপ্ত বুকের জমিন সুশীতল করে দেবে?
তোমাকে একে একে ব্যর্থ প্রেমের ধারাপাত শোনাব।
বৃষ্টি,
তুমি কি আমার চোখের জল ছুঁয়ে দেবে?
তোমাকে তানপুরাটার মতো কাছে ডাকব।
তুমি কি আমার দুঃসময়ের বন্ধু হবে?
তোমাকে নিয়ে অপ্রত্যাশার গল্প লিখব।
বৃষ্টি,
তুমি কি না পাওয়ার দীর্ঘশ্বাস গুনে দেবে?
তোমাকে নিয়ে বিরহের জলছবি আঁকব।
তুমি কি রূপকথার রূপ কুমারী এনে দেবে?
তোমায় সাক্ষী রেখে আবারও তাকে ভালোবাসব?
কনইল, নওগাঁ

 


আরো সংবাদ



premium cement