১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদুল ফিতর স্মৃতি ও প্রাসঙ্গিকতা

-

আজ থেকে ৮০ বছর আগে যথার্থ বুঝবার বয়স যখন হলো, তখন বুঝতে পারলাম আমি একজন মুসলমানের ঘরে জন্মেছি। আম্মা-আব্বাকে কুরআন তেলাওয়াত এবং নামাজ পড়তে দেখেছি। রমজান মাসে রোজা রাখতে দেখেছি উৎকট গরমের মধ্যেও। আমি রোজা রাখতে চাইলে আমাকে খুব উৎসাহ দেয়া হয়েছে। তখনো আমার রোজা রাখার বয়স হয়নি। রাতে সেহরি খেয়েছি। ফজরে আব্বার পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছি। আব্বা খুব সুন্দর করে তেলাওয়াত করতে পারতেন। আমার মনে আছে, যশোরে মনিরামপুর অঞ্চলে লাউড়ি গ্রাম ছিল আমার মামার বাড়ি। এই গ্রামেই আমার জন্ম হয়েছিল। আমার মামার বাড়ি সংলগ্ন দহলিজ ঘরে একজন বুজুর্গ মাওলানাকে থাকতে দেখেছি। সুন্দর চেহারা, মুখভরা দাড়ি। মিষ্টি করে হাসতেন। আমাকে খুব আদর করতেন। দহলিজ সংলগ্ন ছিল মসজিদ। একজন বয়স্ক মানুষ চমৎকার করে আজান দিতেন। আমার মন ভরে যেত। আমার বাড়ি থেকে একটু দূরে পূর্ব দিকে লাইড়ি মাদরাসা নামে একটি মাদরাসা ছিল। এ মাদরাসাটি যিনি প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি আমার মায়ের চাচাতো ভাই হতেন। নাম মৌলভি নূর মোহাম্মাদ। ব্রিটিশ আমলে তিনি শিক্ষা বিভাগে সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। এই মাদরাসায় আলেম, ফাজেল, হাফেজি বিভাগ ছিল। গরমকালে জ্যৈষ্ঠ মাসে কিংবা ঈদের ছুটিতে আব্বা আমাদের মামাবাড়িতে নিয়ে আসতেন। ঈদের ছুটি ছাড়াও ডিসেম্বরে শীতকালে স্কুলের পরীক্ষা শেষ হলে আব্বা আমাদের মামাবাড়িতে রেখে যেতেন। আব্বা এলে আমার বড় মামুজান মৌলভি নূর মোহাম্মাদ মাদরাসায় কুরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করতেন। আমি বেশ কয়েকবার আব্বার সাথে ঈদের আগে মাদরাসায় কুরআন তেলাওয়াত শুনতে গিয়েছি। কী অসাধারণ সুর-মাধুর্যে মাদরাসার ছাত্ররা কুরআন তেলাওয়াত করতেন, তা বোঝানো যাবে না। বাতাস শান্ত থাকত। মাদরাসার খোলা মাঠে পাটি পেড়ে ছাত্ররা এক এক করে তেলাওয়াত করছেন এবং সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছেন। বড় হয়ে কুরআন পড়তে শিখলে হজরত দাউদ আ:-এর জাবুর তেলাওয়াতের কথা কুরআন মাজিদে পড়েছি। পাহাড়, পর্বত, গাছপালা, পশুপাখি সব কিছুই তার সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। হজরত দাউদের জাবুর পাঠে নদীর মাছেরাও থমকে তাঁর সুর শুনেছে। কিন্তু কিছু খারাপ মানুষ এই সুযোগে মাছ ধরে নিয়ে যেত। আল্লাহ তাদের নিষেধ করে দিলেন। কিন্তু তারা তা মানেনি। ফলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বানর হয়ে ইহকালে যন্ত্রণা ভোগ করেছে। মাদরাসার হোস্টেলে অনেককে থাকতে দেখেছি। এরা আশপাশের মসজিদে নামাজ পড়াতেন। এই মাদরাসায় দেওবন্দ, চাহারানপুর থেকে ‘মুদাররেস’ শিক্ষকেরা আসতেন। তাদের আচার-ব্যবহার, চাল-চলন আমার ছোটবেলা থেকে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছিল। ছুটির সময় মামাবাড়িতে এলে অনেক সময় মাদরাসায় ওয়াজ বা আলোচনা অনুষ্ঠান শুনেছি। অনেক গ্রাম থেকেই লোকজন এসে গোটা মাদরাসার মাঠ ভরে যেত। মাদরাসায় কুরআন পাঠের সুর আমার মনে হতো সঙ্গীতের চেয়ে মধুময়। আমাদের শহরের বাসায় গ্রামোফোন ছিল বিধায় আমার বড় মামুজান একবার তা আছড়ে ভেঙে ফেলেছিলেন। আমি খ্রিষ্টানদের চার্চে বাইবেল (ইঞ্জিল, তাওরাত ও জাবুর) শুনেছি। চমৎকার ধ্বনিতে সবাই মিলে একসাথে অসাধারণ সুরে বাইবেল পাঠ করতেন। আমি মুগ্ধ হতাম, বারবার মনে হতো ঈদের ছুটিতে মামাবাড়িতে এলে মাদরাসায় কুরআন তেলাওয়াত শুনতে যেতে হবে।
আমার মনে আছে, ১৯৭৫ সালে আমি আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলনে লালনের গানের ওপর বক্তৃতা দেয়ার জন্য বাগদাদে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমার আমন্ত্রণ এসেছিল তৎকালীন বাগদাদ সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুনির বশিরের কাছ থেকে। সে সময় হাসান আল বাকর ছিলেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট। এখানেই আরবি গান ‘মাকাম’ শুনতে পাই। এ অনুষ্ঠানে মিসরের আল আহরাম পত্রিকার সাংস্কৃতিক সম্পাদকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি আজানের সুরকে ‘সঙ্গীত’ বলে উল্লেখ করলেন এবং একইভাবে তিনি কুরআনের সুরকেও সঙ্গীত বলে উল্লেখ করলেন। সে সময় আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ইন্ডিয়ানা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর এলান পি মেরিয়ামের, তিনি নৃবিজ্ঞান ও সঙ্গীতের অধ্যাপক ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডেইটার ক্রিশ্চেনশন। বাউল ও লালন বিষয়ে গবেষণার জন্য তাদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। ক্রিশ্চেনশন নিউ ইয়র্কে কলম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। তার বিশ^বিদ্যালয়ে আমি লালনের গান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম হার্ভার্ড বিশ^বিদ্যালয়ে থাকতে। তারা উভয়ে ধর্মীয় সঙ্গীতের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আল আহরাম পত্রিকার সাংস্কৃতিক সম্পাদক (এত দিনে আর নাম মনে নেই) ও আমেরিকার দুইজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলাপ করলে তারা দু’জনই কুরআন ও আজানের সুরের প্রশংসা করলেন। গান মানুষের মনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান আজো মানুষের মনকে উদ্বুদ্ধ করে। তৃপ্তি দিয়ে যায়। বিশেষ করে নজরুলের ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ একবার যে শুনেছে, সে কখনো ভুলতে পারবে না।
কিছু দিন আগে শাহ আব্দুল হালিমের একটি অসাধারণ গ্রন্থ Islam and Music পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। গ্রন্থটিতে সঙ্গীতের বিরোধিতা করা হয়নি। ইসলামের দৃষ্টিতে সঙ্গীত ‘হারাম’, এমন কথা তিনি বলেননি, বরং আল্লাহর বাণী সুমিষ্ট সুরে পাঠ করতে জানলে তা নিশ্চয়ই তাঁর ধারণায় মানুষের মনকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যাবে, যেমনটি হয়েছিল হজরত দাউদ আ:-এর জাবুর পাঠে।
যা হোক, আমার ছেলেবেলার ঈদের আনন্দের অন্যতম দিক ছিল মাদরাসায় কুরআন তেলাওয়াত। এই প্রেরণা থেকে আমি ’৮০-এর দশকে বাংলাদেশ অবজার্ভার পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে Islam and Music নামে অনেক লিখেছি। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি গ্রন্থ প্রকাশের ইচ্ছে আছে।
ঈদের দিন ছিল আমাদের ছেলেবেলায় মহোৎসব। ব্রিটিশ আমলে ঈদ পালনের সময় অনেককে ‘ফেজ’ নামক তুর্কি টুপি ব্যবহার করতে দেখেছি। এই টুপি তখনকার দিনে মুসলিম ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করত। তুর্কিপ্রধান কামাল পাশা তখন মুসলমানদের খলিফা। তিনি এ ধরনের টুপি মাথায় দিতেন। রোজার শেষে ঈদের চাঁদ দেখতে আমরা খোলা মাঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ঈদের খুব ছোট এবং বাঁকা চাঁদ দেখতে চাইতাম, বারবার দৃষ্টিবিভ্রম হতো। সাদা মেঘের চিকন ফালি দেখে ‘চাঁদ দেখেছি’ বলে চিৎকার দিতাম। দেখা যেত, আসলেই সেটা চাঁদ ছিল না। তখন বড় লজ্জা পেতাম। কিন্তু কেউ সেজন্য বকেনি। সবাই চাঁদ দেখার জন্য পাগল ছিল। এরপর যখন যথার্থ চাঁদ দেখা যেত তখন জোরে সবাই চিৎকার করে উঠতÑ চাঁদ দেখা গেছে। এরপর সে কী আনন্দ! আমরা যারা ছোট ছিলাম, তাদের আনন্দই ছিল বড়। বাড়ি ফিরে এসেই আম্মা-আব্বাকে সালামÑ সাথে অন্যদেরও। সে কী মজা! কী আনন্দ! আর গ্রামোফোন রেকর্ডে বেজে উঠত নজরুলের গান : রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। অনেকে মাইকেও এ গানটি অন্যদের বাজিয়ে শোনাত। সেই রাতে আর ঘুম আসত না। ইতোমধ্যে ঈদের দিনে কী পরব, এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই আব্বা বাজারে নিয়ে যেতেন। সেই ছেলেবেলায় এখনকার মতো নানা রঙের, রেডিমেড জামাকাপড় পাওয়া যেত না। দর্জির দোকানে গিয়ে পাজামা-পাঞ্জাবি বানাতে দিতে হতো। সে সময় তেমন ভিড় থাকত না দোকানে। লোকজনের সংখ্যাই ছিল কম। বাবাই সে সময় ছেলেমেয়েদের জন্য পাজামা, পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের জন্য সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, হাতে পরার কাচের চুড়ি ও অন্যান্য অলঙ্কার কিনতেন। তবে এখনকার মতো দোকানে যে ভিড় দেখা যায় তা ছিল না। মেয়েরা এখনকার মতো বাইরে যেতেন না শাড়ি কিনতে। আপনা-আপনিই পুরুষেরা তাদের জন্য শাড়ি আনতেনÑ মায়ের জন্য, বড় বোনদের জন্য। এমনকি দাদা-দাদী, নানা-নানী সবার জন্যই কাপড়চোপড়, স্যান্ডেল-জুতা কেনা হতো।
ঈদের আনন্দের আর একটি বড় দিক ছিল হাতে মেহেদি দেয়া। এই প্রচলনটা দীর্ঘকালের। বাড়ি বাড়ি ধুম পড়ে যেত হাতে মেহেদি দেয়ার। সারা বাড়ি ঈদের আগের দিন ও রাত সরগরম হয়ে থাকত। বাড়ির মায়েরা ও অন্যরা দারুণ ব্যস্ত থাকতেন সেমাই, পায়েস, জর্দা ইত্যাদি রান্নার জন্য। ঈদের সকালে এসব দিয়ে নাশতা, দুপুরে পোলাও-কোর্মা, মুরগি মসল্লাম, এমন অনেক মোগলাই খানা তৈরির জন্য রাতভর কারো ঘুম থাকত না। এতে যে কারো মনে কষ্ট হতো, তা নয়। এ যেন একটা মহা উৎসব। ৩০ দিন রোজার শেষে আবার ফিরে যাওয়া স্বাভাবিক জীবনেÑ এত দিন ধরে সংযম পালন করতে হয়েছে। কৃচ্ছ্র শিখতে হয়েছে। বুঝতে হয়েছে এক বেলা না খেতে পারলে কী রকম কষ্ট।
সুতরাং যারা গরিব তাদের দুঃখকে বুঝতে হবে। টাকা-পয়সা জমিয়ে রাখা যাবে না, দান করতে হবে। যাকাত দিতে হবে। গরিবকে সমপর্যায়ে আনার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এজন্য ফিতরা শেষ না করে নামাজে যাওয়া যাবে না। কারো মনে যেন দুঃখ না থাকে।
কিন্তু আসলেই কি তা হয়? ঈদের দিনে আমাদের কি সে সব মনে থাকে? বড়লোক যারা, তারা কি সবাই জাকাত দেয় ঠিকমতো? ঈদের দিনে আমরা যারা ছোট ছিলাম, তখন বিকেলে নানা খেলাধুলা দেখতে যেতাম। শহরে ঘটা করে ফুটবল খেলা হতো। গ্রামে হতো হাডুডু খেলা বা কাবাডি খেলা, ঘুড়ি উড়ানো। শহরে রাস্তা তখন খালি থাকত। আমরা এ বাড়ি সে বাড়ি ঘুরে ঘুরে সেমাই-মিষ্টি খেতে যেতাম দলবেঁধে। তিন দিন ধরে উৎসব থাকত, ঈদের পরের দিন মেয়েরা বেড়াতেন। আমার মায়ের সঙ্গে আমি তার সইয়ের বাড়িতে গিয়েছি। খুব আনন্দ হতো। বাড়ির সামনে গেট বানিয়ে ঈদ মোবারক লিখে রাখা হতো।
মুসলমানের কাছে রমজানের ঈদের গুরুত্ব ছিল ভিন্নমাত্রা। আল্লাহ কুরআনে রোজা ফরজ করেছেন। আল্লাহপ্রদত্ত অন্যান্য ধর্মেও তার প্রচলন ছিল। হজরত মুহাম্মদ সা: যে ইসলাম প্রচার করেছিলেন, রমজান মাসে তার গুরুত্ব ছিল সর্বাধিক। রমজানের শেষের দিকে শবে কদরের রাতে আল্লাহ কুরআন নাজিল করেছিলেন বিশে^র সমগ্র মানুষের জন্য। পবিত্র কুরআনকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করার জন্য যে শক্তি ও মানসিকতার প্রয়োজন, সেজন্য রোজার প্রবর্তন হয়েছিল প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। কুরআন বুঝা এবং তা জীবনে ও সমাজে প্রয়োগ করা ছিল একজন মুসলমানের জন্য অবশ্যকর্তব্য। আল্লাহর ধর্ম কোনো একটি সম্প্রদায়ের জন্য নয়। ইব্রাহিম আ:, মুসা আ:, ঈসা আ: কেউ কোনো সম্প্রদায়ের জন্য এই ধর্ম প্রচার করেননি। কিন্তু এদের অনুসারীরা নিজেদের মতো করে তা প্রয়োগ করেছে। নবীদের কাউকে যেমন ঈসা আ: এবং ওজায়ের আ:কে আল্লাহর সন্তান বলা হয়েছে। আল কুরআনে আল্লাহ তা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং খোদাদ্রোহী বলে উল্লেখ করেছেন। এ জন্য বুঝে কুরআন পড়া জরুরি। ঈদের নামাজ এবং অন্যান্য নামাজে আমরা কুরআন শুনি, কিন্তু কেউ তা বুঝি না। এ কারণে ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে সমাজে অশ্লীল এবং অন্যায় কর্মকাণ্ড প্রচলিত রয়েছে। কুরআন মাজিদে গোটা ইসলামকে আল্লাহর দ্বীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে এ কারণে যে, তারা কুরআন বুঝেছিল এবং সেই মোতাবেক জীবনকে গড়েছিল।
আজ বাংলাদেশে আমরা ঈদ পালন করছি শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু ফিলিস্তিন, মিয়ানমার ও সিরিয়ার মুসলমানেরা ঈদের নামাজ পড়তে পারছে না। তাদের মসজিদে বোমা মেরে মুসলমান নামাজিদের হত্যা করা হচ্ছে। ঈদের নামাজে দাঁড়ালে মৃত্যুর ভয় রয়েছে। সিরিয়ায় মুসলমানেরা জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। সেখানে রোজা বা ঈদ কোনোটিই তাদের পালন করা হচ্ছে না।
সবচেয়ে দুঃখজনক মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের জীবন। দেশ থেকে তারা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কিন্তু যারা দেশে রয়ে গেছে, তারা কিভাবে ঈদ পালন করবে? প্রতিমুহূর্তেই তারা মৃত্যুর দিন গুনছে। আমাদের দুঃখ লাগে, জাতিসঙ্ঘ আজ অবধি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারল না, ‘ওআইসি’ নামে মুসলিম সংগঠনও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে আজ। রোহিঙ্গাদের কান্না আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়েদের ঈদের খুশি আসবে না। আমরা ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ সরকারকে। বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দিয়ে সরকার মহৎ কাজ করেছে। এখানে তারা রোজা ও ঈদ পালন করতে পারবেন।
এখন মুসলমানদের কর্তব্য তারা আল্লাহর কুরআনকে সামনে রেখে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কাবা শরিফকে মুসলমানদের ঐক্যের স্থান বলে গ্রহণ করে পৃথিবীতে সবার মধ্যে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী ছড়িয়ে দিতে। মধ্যস্বত্বও নেই। এক আল্লাহর সঙ্গেই প্রত্যক্ষ সম্পর্ক মানুষের।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল