২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পাঞ্জাবিতে ঈদ : রঙের ঝলক

-

আমাদের দেশে ধর্মীয়, সামাজিক প্রায় সব উৎসবে প্রাধান্য পায় পাঞ্জাবি। ঈদে তো কথাই নেই। বাহারি রঙ আর নজরকাড়া ডিজাইনের পাঞ্জাবি ছাড়া কিছুতেই যেন জমতে চায় না উৎসব। আর তাই আসছে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে এরই মধ্যে জমে উঠেছে পাঞ্জাবির বেচাকেনা। বর্তমানে তরুণদের মধ্যে বিভিন্ন স্টাইলের পাঞ্জাবি পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এর মধ্যে কাবলিও জায়গা করে নিয়েছে। এর ডিজাইন, কাপড়ের ভিন্নতা আর রঙে রয়েছে বেশ ভিন্নতা। সুন্দর কারুকার্যময় ডিজাইনের পাঞ্জাবি এখন তরুণসহ সব বয়সের পুরুষের প্রথম পছন্দ। তাই ফ্যাশন হাউজগুলোতেও ছেলেদের জন্য থাকে পাঞ্জাবির বিশেষ আয়োজন। তবে ক্যাজুয়াল শার্ট, পলো বা টি-শার্ট, ফতুয়াও এবার ঈদ ফ্যাশনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। একই সাথে ঈদে থাকবে গরম ও বৃষ্টির প্রভাব। ফ্যাশন হাউজগুলো চেষ্টা করেছে স্বাচ্ছন্দ্য ও আরাম বজায় রাখতে। সুতি কাপড় ও হালকা রঙের ব্যবহার হয়েছে বেশি। ঈদের পাঞ্জাবির কাটে প্রাধান্য পেয়েছে রেগুলার ও স্লিম ফিট। পাঞ্জাবিতে মেশিনে নকশা করার বদলে হাতে কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া শার্ট, ফতুয়াও আছে। সাদা ও হালকা রঙের বাইরে ব্যবহার করা হয়েছে মেরুন, ব্লু, কমলা, বেগুনি, কফির মতো রঙ। ম্যাটেরিয়ালে প্রাধান্য সুতির। পাঞ্জাবি-পায়জামার সেটও করা হয়েছে। রয়েছে প্যান্ট কাট পায়জামাও, নাম ফ্লাগস। যা শার্ট ও পাঞ্জাবির সাথে পরা যাবে।
ইজির স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী জানান, এবার পাঞ্জাবিতে সুতির প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কাতান, সিল্কের মতো জমকালো কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। পাঞ্জাবিতে উৎসবের রঙ যেমনÑ মেরুন, ব্লু, ব্রাউন, সবুজ এসবের ব্যবহার হয়েছে বেশি। নকশায় কারচুপি, প্রিন্ট, এমব্রয়ডারির কাজ করা হয়েছে। সাদা, অফহোয়াইট ও ক্রিম রঙের চাহিদা সার্বজনীন, বাদ যায়নি এসব রঙও। কাটে প্রাধান্য পেয়েছে স্লিম ফিট। গরমের কারণে রাজত্ব করছে সুতি। পাঞ্জাবি ছাড়াও পলো ও টি-শার্ট আছে ঈদ কালেকশনে। নকশায় হাতের কাজ, কারচুপি, হ্যান্ড প্রিন্ট, ব্লক, বাটিক করা হয়েছে।
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, এবার পাঞ্জাবির নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে ইসলামিক, ফ্লোরাল, জিওম্যাট্রিক মোটিফ। সুতি মাধ্যমেই কাজ বেশি হয়েছে। পাঞ্জাবির কলার ও জমিনে হালকা কাজ করা হয়েছে। কাটিংয়ে রঙের ‘শ্রদ্ধাঞ্জলির’ পাঞ্জাবিগুলো কিছুটা ঢোলাঢালা, ওয়েস্ট রঙের পাঞ্জাবি কিছুটা ফতুয়ার মতো। কে-ক্র্যাফটের ডিজাইনার শরিফুল হুদা বিপ্লব বলেন, নকশায় এবার নতুনত্ব এসেছে; টাইডাই ও প্রিন্টের কম্বিনেশন বেশি করা হয়েছে। এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ ও কারচুপির কাজ করা হয়েছে। কাঁধে, কাঁধের পেছনে এবং পাঞ্জাবির এক পাশে নকশা করা হয়েছে। আদ্দি ভয়েলে স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হাতের কাজ করা হয়েছে। হাফহাতা শার্ট করা হয়েছে এবার আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই। আছে ফতুয়া ও। আর দাম? সে তো হাতের নাগালেই। ভালো ব্র্যান্ডের জামা কিনতে চাইলে তো একটু ভালো দামই দিতে হবে। পাঞ্জাবি সেট পাবেন ৮০০ থেকে ২৫০০, কাবলি পাঞ্জাবি পাবেন ১১৫০ থেকে ৪৫০০। শার্ট ৪৫০ থেকে ২৩০০, ক্যাজুয়াল শার্ট ৮০০ থেকে ১৫০০, টি-শার্ট ৩৫০ থেকে ৯০০ এবং ফতুয়া ৫৫০ থেকে ১২৫০।


আরো সংবাদ



premium cement