১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রমজানে শিশুর শিক্ষা : রঙের ফিচার

-

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নাগরিক। ছোট শিশুরা সবার কাছেই আদরের। শিশুদের আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হাসি, কান্না, মজার মজার কথা, দুষ্টুমি সবই তার চারপাশের সবাইকে মাতিয়ে রাখে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্যেও শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার শিক্ষা দেয়াও জরুরি। এখন ছোট, বোঝে না এভাবে অনেকেই ভাবেন। আর তখন শিশুর সব দুষ্টুমি আর আবদারকে প্রশ্রয় দেন। এর ফলে শিশুরা অনেক সময় জেদি হয়ে ওঠে। তাদের আবদার না রাখলে কান্নাকাটি করে। তাই প্রথম থেকেই শিশুকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও নম্র-ভদ্র হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। তাদের প্রতিটি কথা, কাজ ও আচরণ কেমন হবে, সে বিষয়গুলো শিশুদের বোঝাতে হবে। বিশেষ করে রমজানের এই মাস শিশুদের শেখানোর জন্য খুবই সুন্দর একটি সময়। শিশুদের মধ্যে ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার জন্য বড়দেরই ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। রমজানের এই মাসে শিশুদের ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে।
শিশুদের ভালো কাজের অভ্যাসগুলোর মধ্যে হচ্ছেÑ
ষ প্রাণীদের প্রতি দয়ালু হওয়া।
ষ রোজাদারদের ইফতার দেয়া।
ষ পুরনো খেলনা দান করা।
ষ ঘরের কাজে সাহায্য করা।
ষ অসুস্থ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সাথে দেখা করা।
ষ কাপড় পরিষ্কার করতে মাকে সহযোগিতা করা।
ষ ভাইবোনকে হোমওয়ার্ক করতে সহযোগিতা করা।
ষ বন্ধুদের ঈদ কার্ড দেয়া।
ষ নতুন কাপড় দান করে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দেয়া।
ষ প্রতিবেশীদের সাথে ইফতার শেয়ার করা।
ষ বয়স্কদের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা।
ষ ভালো কাজের প্রশংসা করা।
ষ ইফতার টেবিল সাজানোয় সহযোগিতা করা।
ষ কারো হাতে কিছু পরে গেলে তুুলে দেয়া।
ষ ছোটদেরকে আদর করা।
ষ আব্বু-আম্মুর কথা শোনা।
ষ রাগ ভুলে ক্ষমা করে দেয়া।
ষ পরিচিত কেউ বাসায় এলে দরজা খুলে দেয়া।
ষ কেউ সহযোগিতা করলে তাকে ধন্যবাদ দেয়া।
ষ আম্মুকে সেমাই রান্নায় সহযোগিতা করা।
ষ অসহায়কে সাহায্য করা।
ষ রোদ-বৃষ্টিতে ছাতা শেয়ার করা।
ষ পরিবেশ রক্ষায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা।
ষ গাছে নিয়মিত পানি দেয়া।
ষ অসুস্থ প্রাণীকে সেবা করা।
ষ রান্না শেষে গ্যাসের চুলা বন্ধ করা।
ষ বন্ধুর সাথে বই শেয়ার করা।
ষ প্রয়োজন না হলে লাইট, ফ্যান বন্ধ রাখা।
ষ পানি অপচয় না করা।
ষ বাগান করে পরিবেশ বাঁচানো।


আরো সংবাদ



premium cement