১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রিয় আমার মা : রঙের ফিচার

-

ছোট্ট শিশুর জগৎজুড়ে থাকে শুধু তার মা। মায়ের স্পর্শ সন্তানের জন্য সবচেয়ে নির্ভরতা ও নিরাপত্তার আশ্রয়। সন্তানের ছোট্ট হাতটি যতক্ষণ মায়ের মুঠোয় থাকে ততক্ষণ সন্তান থাকে পরম নির্ভরতায়। মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও সমর্থন কোনো কিছুর তুলনা করা সম্ভব নয়। মা সন্তানের জন্য সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। সারা বিশ্বেই দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে।
একজন সন্তানের পক্ষে মায়ের অবদানের প্রতিদান দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু মায়ের প্রতি যতœ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানানো তো সম্ভব। বরং এটাই প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব। সেই মনোভাব থেকেই সন্তানের জীবনে মায়ের অবদানকে নতুন করে অনুধাবন করুন মা দিবসে।
মাকে ভালোবাসতে কোনো দিবস যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি প্রয়োজন নেই কোনো উপহারের। কারণ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কোনো বিনিময় মূল্যের অপেক্ষা রাখে না। দিন-কাল-সময়-অসময়, সুখ-দুঃখে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মা ও মায়ের মমতা।
ধনী বা দরিদ্র অর্থনৈতিক অবস্থা যেমনই হোক, মায়ের মমতায় কোনো পার্থক্য নেই। প্রতিটি মা তার জীবনের সব কিছু নিমেষে ত্যাগ করতে পারেন সন্তানের মঙ্গলের জন্য। সন্তানের কল্যাণ কামনা করা তার জীবনের একমাত্র ব্রত। আমাদের চার পাশে চোখ বুলালেই দেখতে পাই, মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য কত পরিশ্রম করেন। সন্তানের খাওয়া, পড়ালেখা, বিশ্রাম যেন ঠিকভাবে হয় তার জন্য নিজের খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রামের কথা ভুলে যান। সন্তান যেন মেধাবী প্রতিভাবান, দক্ষ হয়ে ওঠে সে জন্য বিসর্জন দেন নিজের সাধ-আহ্লাদ। সন্তানের কল্যাণে নিজের জীবন থেকে বাদ দেন কত আনন্দ, স্বাচ্ছন্দ্য, বিনোদন। সন্তানদের জন্য মায়ের ত্যাগের শেষ নেই।
ছোটবেলা পার করে সন্তানেরা একসময় বড় হয়ে যায়। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের সংসার, সন্তান আসে জীবনে। কিন্তু তার জন্য তার মায়ের সে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসা একই থেকে যায়। সন্তানদের জন্য মায়ের ভালোবাসা কখনো একবিন্দুও কমে না। তাই তো সন্তান যদি কখনো অবহেলাও করে মাকে, তাকে কষ্ট দেয়, তাকে দূরে সরিয়ে দেয় তবুও মা সন্তানকে ভালো না ভেসে থাকতে পারেন না। সন্তানের মঙ্গল কামনা করাই মায়ের প্রথম কাজ।
মা দিবস উদযাপনের অর্থ শুধু কার্ড ও ফুল কিনে উপহার দেয়া নয়। বাস্তবে মাকে আরো বেশি করে ভালোবাসা, তার প্রতি সন্তানদের সম্মান ও দায়িত্ববোধকে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা ও প্রকাশ করার দিন হতে পারে মা দিবস।
আজ আমাদের সমাজে মায়ের জন্য সন্তানদের ভালোবাসা, স্নেহ ও দায়িত্ব-কর্তব্যকে অবহেলা করতে দেখাটা কোনো বিরল বিষয় নয়। কখনো নানামুখী চাপে পড়ে, কখনো স্বেচ্ছায় সন্তানেরা মা-বাবাকে কষ্ট দেয়। যে মা তার পাঁচজন সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন, মানুষ করেছেন পরম স্নেহ, মমতায়; বৃদ্ধ, অসুস্থ, অসহায় অবস্থায় সেই মায়ের পাশে হয়তো একজন সন্তানও থাকে না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর মানুষের জীবনে কী হতে পারে। তাই মা দিবসকে যতই পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হোক না কেন, এই একটা দিন উপলক্ষ করে সব সন্তান তাদের মায়ের অবদান অনুভব করতে পারবে নতুন করে এই আশা থাকবে সবার কাছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল