১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তারকার বৈশাখ নববর্ষ ১৪২৬

-

পয়লা বৈশাখ মানে বাঙালিয়ানা। বাংলাকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখশান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় পালিত হয় নববর্ষ। এ দিনকে কিভাবে উদযাপন করেন খ্যাতিমান লাক্স তারকারা। এ বিষয়ে জানাচ্ছেন আলমগীর কবির

জাকিয়া বারী মম
পয়লা বৈশাখ আমার গর্ব। ছোটবেলা থেকেই এই দিনে অনেক আনন্দ করতাম। এখনো বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সাথে আড্ডা দিয়ে দিনটি কেটে যায়। আমার কাছে পয়লা বৈশাখকে মনে হয় বেলি ফুলের অনুভূতি। যার মধ্যে সব সময় লুকিয়ে থাকে মৌলিকতা। বেলি ফুলটা আবার প্রেমের মতো, শুকিয়ে গেলেও সুবাস অটুট থাকে। আমার শৈশব কেটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর বাড়িতেই বেলি ফুলের গাছ ছিল। মালা গেঁথে রাখলে অনেক দূর পর্যন্ত সুবাস ছড়িয়ে যেত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বৈশাখ এলে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আড্ডা দিয়ে বিকেলে চলে আসতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। ওখানে সবাইকে নিয়ে কাটত সময়। এখন তো বেশির ভাগ সময় শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তবুও পরিচিতদের সাথে আড্ডার সময় ঠিকই বের করে নেই।
আমার কাছে সব সময় মনে হয়, সঙ্কীর্ণ জীবন অনেক কষ্টের। অনেকের সাথে মিলেমিশে থাকার যে আনন্দ, তা শিখিয়েছে বৈশাখ। পয়লা বৈশাকে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, তাতে সবাই গ্লানি ভুলে সুখশান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে। অনেকের একসাথে মিলনের একটা সুযোগ থাকা উচিত সব সময়। এতে সংস্কৃতি বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি মানবিকতা ছড়িয়ে যায় সবখানে।
বৈশাখ উপলক্ষে এবার আমি বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছি। তবে ব্যতিক্রম হয়েছে একটি ওয়েব সিরিজ। নাম ‘অনন্যা’। একজন মানুষের কত কিছু করার আছে খুব সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে এর মধ্যে।

বিদ্যা সিনহা মিম
বাঙালি হিসেবে আর পাঁচ-দশটা মানুষের মতো আমিও বৈশাখটাকে ঠিক তেমনভাবেই উপভোগ করি। বিশেষ করে পয়লা বৈশাখ দিনটাকে। এ দিন আমাকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই পরিবারের লোকজনের সাথে বাইরে বের হই। পয়লা বৈশাখের মেলা রাজশাহীর বাঘায় মামাবাড়িতে বেশ ভালো জমত। প্রতি বছর সেখানে নৌকাবাইচ হয়। আমি নৌকাবাইচ দেখতে খুব পছন্দ করি। বৈশাখী মেলায় মামা-মামীদের সাথে ঘুরতে বের হতাম। সেখানে বৈশাখে অনেক আনন্দ হতো। আমার বৈশাখের স্মৃতি আছে কুমিল্লাতেও। এই জেলার ভোলায় আমার বাবার বাড়ি। তখন ফ্রক পরতাম। আমি স্কুলে পড়া অবস্থায়ও ফ্রক পরেছি। এখন বৈশাখে শাড়ি পরি। তবে ছোটবেলাটা খুব মিস করি। মিডিয়ার কাজের পর কোথাও বেড়াতে যাওয়ার খুব সুযোগ থাকে না। এখন আর মামা বাড়ি যাওয়া হয় না।
বৈশাখে সকালে পান্তা-ইলিশ খাই, দুপুরে বাসায় রান্না হয়। মেহমান আসে। বিকেলে কাছের মানুষদের বাসায় যাওয়া হয় অথবা বাইরে ঘুরতে বের হই। এ ছাড়া বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েই দিনটা কেটে যায়।
সিনেমায় বেশি ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এবার বৈশাখ উপলক্ষে কোনো নাটকে কাজ করতে পারিনি। তবে বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement