১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুলের যতেœ অ্যাসেনশিয়াল অয়েল রূপ কথা

-

শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যা-ই হোক, বছরজুড়ে সুন্দর চুলে চাই বাড়তি যতœ। চুল সুস্থ রাখতে তেলের বিকল্প নেই। আর তা যদি হয় প্রাকৃতিক নির্যাসের সংমিশ্রণে সমৃদ্ধ তেল তাহলে খুবই ভালো হয়। যুগ যুগ ধরে নারীর চুলের পরিচর্যায় তেল গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরি তেল অর্থাৎ অ্যাসেনশিয়াল অয়েল রূপচর্চার অন্যতম উপাদান। সাধারণ তেলের তুলনায় অ্যাসেনশিয়াল অয়েলে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যাসেনশিয়াল অয়েল বেছে নিতে হবে। দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা দূর করতে ও চুলের যতেœ এই তেল প্রাচীনকাল থেকে প্রসিদ্ধ। চুল পড়া বন্ধ, চুলের গোড়া মজবুত ও নতুন চুল গজানো এমনকি স্কাল্পের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেও অ্যাসেনশিয়াল অয়েল বেশ কার্যকরী।
ল্যাভেন্ডার অয়েল
শুষ্ক চুলের খুশকি দূর করতে এই তেল দারুণ উপকারী। ল্যাভেন্ডার অয়েল অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটর উপকারী দিকের জন্যও বেশি পরিচিত। যে কোনো তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা ল্যাভন্ডার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেল মাথার ত্বকে আর্দ্রতা আনে। তাই চুলও মসৃণ করে।
আমন্ড অয়েল
চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপকারী কাঠ বাদামের তেল। এই তেলে চুলের জন্য উপকারী সব ধরনের উপাদান রয়েছে। চুলে ডিপ কন্ডিশন করতে এর জুড়ি নেই। পরিমাণমতো অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল এবং নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেলের সাথে জবা ফুল একটি ধাতব পাত্রে নিয়ে ৩০ মিনিট চুলায় রেখে ঠাণ্ডা হলে এটি চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। এটি রাতে করুন। পরদিন সকালে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল কালো করতে এটির জুড়ি নেই। হট অয়েল ম্যাসাজে নারিকেল তেলের ব্যবহার বেশ প্রচলিত। নারিকেল তেলের সাথে লেবু, আদার রস মিশিয়ে হালকা গরম অবস্থায় ব্যবহার করা যায়। এতে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। নারিকেল তেলের সাথে কচি ঘাস ও কচি আমলকী একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় রাখুন ৩০ মিনিট। তেল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে রাখুন আপনার সুবিধামতো পাত্রে। এটি ব্যবহারে চুল পড়া রোধ হবে নতুন চুল গজাতে ও চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
তিলের তেল
অকালেই চুল পেকে যাওয়া এবং ধূসর চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিলের তেল বেশ উপকারী। তিলের তেল চুল ঘন ও ঝলমলে করার পাশাপাশি অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। এই তেলের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের সমস্যা উপশমে সাহায্য করে। খুশকির সমস্যায়ও এটি বেশ ভালো কাজ করে। তিলের তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

 


আরো সংবাদ



premium cement