২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ওরা মানুষ নয় ওরা মুসলমান

ওরা মানুষ নয় ওরা মুসলমান - ছবি : সংগৃহীত

এই একুশ শতকে এসে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যে পৈশাচিক নির্যাতন, বর্বর হত্যাযজ্ঞ ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এর একটাই কারণ হলো, তাদের ধর্মীয় পরিচয় তারা মুসলমান। বিশ্বে বহু ধর্ম ও বর্ণের লোকের বসবাস রয়েছে। প্রতিটি ধর্মের লোকেরই বিশ্বের কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস রয়েছে। প্রত্যেক ধর্মের লোকেরাই সমান অধিকার নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থানে থেকে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে। এমনকি যারা ধর্মহীন, নাস্তিক তারাও সমান অধিকার নিয়ে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছে। কারো প্রতি কারো কোনো বিদ্বেষ নেই। নেই কোনো হিংসা ও প্রতিহিংসা। এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমই হলো শুধু মুসলিমদের বেলায়। নিওকন আমেরিকান ও জাঁয়নবাদী ইহুদিদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং তারা ঘবি ড়িৎষফ বিৎফবৎং এর নামে বিশ্বে মুসলিম নিধনের যে ছক তৈরী করেছিল এর অংশ হিসেবেই তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। তাদের পরিকল্পিত এই ষড়যন্ত্র ও প্রপাগান্ডার কারণে সমগ্র বিশ্বব্যাপি মুসলিমরা আজ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। এদের অপরাধ শুধু একটাই যে এরা মুসলমান। মুসলমানরা শুধু তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই সামাজিক, অর্থনৈতিক তো বটেই, এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবেও চরম নির্যাতন-নিপীড়ন ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। একটু বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকান! দেখুন! বোধ করি তাহলে সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য।

টুইন টাওয়ার হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চি‎‎হ্নিত করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তর কোরিয়া। এই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব কতই-না হাক-ডাক ছুড়ছে কিন্তু অদ্যাবধি পর্যন্ত তারা তাদের বিরুদ্ধে একটি হামলাও পরিচালনা করছে না। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাতো দূরের কথা যুদ্ধের সামান্যতম প্রস্তুতিও যে পাশ্চাত্যরা নিচ্ছে এরকম কোনো দৃশ্যও অবলোকন করা যাচ্ছে না। শুধু দু-চারটি হুমকি ধমকিতেই তারা সীমাবদ্ধ। কিন্তু মুসলমানদের বেলায় তাদের আচরণ কি একটু দেখুন! দু চোখের দৃষ্টি ফেরান ইরাক, সিরিয়া আর লিবিয়ার দিকে। কী-না ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তারা মধ্যপ্রাচ্যকে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়াও ছিল তাদের ব্ল্যাক লিস্টে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার উপর আজো পর্যন্ত হামলা না চালালেও মধ্যপ্রাচ্যের এসব তেল সমৃদ্ধ রাষ্ট্রসমূহে হামলা চালাতে মোটেও তারা বিলম্ব করেনি। ওসব রাষ্ট্রসমূহে তারা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য নিরাপরাধ মুসলমানদেরকে।

খ্রিষ্টান অধ্যুসিত অঞ্চল পূর্ব তিমুর যখন ইন্দোনেশিয়া থেকে এবং দক্ষিণ সুদান যখন সুদান থেকে স্বাধীনতার দাবী তুললো এবং তারা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে লিপ্ত হলো তখন পশ্চিমা বিশ্ব এই দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন করে দেওয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘের উপর চাপ প্রয়োগ করলো। সর্বশেষ জাতিসঙ্ঘ পশ্চিমা বিশ্বের চাপের নিকট নতি স্বীকার করে দুটি মুসলিম রাষ্ট্র থেকে দুটি খ্রিষ্টান অঞ্চলকে পৃথক করে দিয়ে স্বাধীন করে দিল। কিন্তু একইভাবে কয়েকটি মুসলিম প্রধান অঞ্চল স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়ব্যাপী এক সাগর রক্ত প্রবাহিত করলেও, অসংখ্য মুসলমান শাহাদাত বরণ করলেও আজো অবধি ওই রাষ্ট্রসমূহ স্বাধীনতা পাওয়াতো দূরের কথা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ন্যূনতম সহযোগিতাও তারা পাচ্ছে না।

ফিলিস্তিন, কাশ্মির, আরাকান, মিন্দানাও ও চেচনিয়া প্রভূত অঞ্চলসমূহ দীর্ঘদিন যাবৎ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব যেন ইসরাইল, ভারত, মিয়ানমার ও ফিলিপাইনের রাষ্ট্র প্রধানদের স্বাধীনতাকামী এসব মুসলিমদের উপর দমন-পীড়ন ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে অর্ধশতাব্দী কাল যাবৎ ওসব মুসলিম প্রধান অঞ্চলের মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য মুসলমানদের প্রাণ গেলেও এবং সুদীর্ঘ কালের আন্দোলনে তাদের রক্তে পবিত্র ভূমি দিয়ে রক্তস্নাত প্রবাহিত হলেও আদৌ পর্যন্ত তাদের স্বাধীনতা অর্জিত হচ্ছে না।

এর মূল কারণই হলো, ওরা খ্রিস্টান আর এরা মুসলমান। মুসলমান হিসেবে জন্ম নেয়াটাই যেন এদের অপরাধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলমান হওয়ার কারণেই এরা যেন মানুষই নয়, বরং হিংস্র জানোয়ার। আমি যদি এতটুকুও বলি যে, পশু একটি প্রাণী হলেও মুসলমানরা তাও নয় তাহলে বোধকরি এটা মোটেই অত্যুক্তি হবে না। কারণ বিশ্বে অসংখ্য পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে। যারা প্রাণীর অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু চলমান শতাব্দীতে মুসলমানদেরকে পশুর চাইতে আরোও বেশি নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও তাদের উপর চলা নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধের লক্ষে তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার আন্দোলন ও প্রতিবাদ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এর কারণ শুধু একটাই যে, এরা মানুষ নয় এরা মুসলমান। তবে ২০১৭ সালে এসে মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পক্ষে পশ্চিমাদের যতটুকু সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে এতে তাদের যথেষ্ট আন্তরিকতা ও সততার ঘাটতি আছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। কারণ দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চললেও আদৌ পর্যন্ত সূচীর বিরুদ্ধে তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

পাশ্চাত্যে সামাজিকভাবেও মুসলমানরা অমানবিক নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। এরা এতোটা নির্যাতন ও ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হওয়ার মূল কারণই হলো এরা মুসলমান। প্রতিনিয়ত এরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অশালীন উক্তি ও কটূক্তি শুনতে হচ্ছে। এদের কাছ থেকে ধিক্কার ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে তারা। এই কারণে অনেক মুসলিমরা নতুন করে ইউরোপ ত্যাগের কথাও ভাবছে। সেখানে তারা এতটাই নিপীড়নের শিকার হচ্ছে যে অনেক সময় নিজেদেরকে মুসলমান হওয়াটাকেও অপরাধ বোধ করছে। বিশ্ববিখ্যাত পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস সমগ্র ইউরোপ জুড়ে মুসলমানরা কী ধরনের বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তার উপর একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। দৈনিক নয়া দিগন্ত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ “ইউরোপে চরম বৈষম্যের শিকার মুসলিম নারীরা” নামে প্রতিবেদনটি ছাপিয়েছে। পাঠকদের আমার উপরিউক্ত মন্তব্যাবলী বুঝার সুবিধার্থে প্রতিবেদনটি হুবহু নিম্নে পেশ করা হলো :

ফ্রান্সের উপকূলীয় ৩০টি শহরে পুরো শরীর আবৃত করা সাঁতারের পোশাক বুরকিনির ওপর নিষধাজ্ঞার ঘটনায় অনেকটা দমে যায় ইউরোপের মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর। এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিন্দার ঝড় উঠলে আদালত অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ‘দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এ ঘটনায় নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছিল। ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ আরো কিছু দেশের এক হাজারের বেশি নারী তাদের মতামত দিয়েছেন, যাতে উঠে এসেছে পোশাকের চেয়েও গভীর অনেক বিষয়।
এসব মতামতে উঠে এসেছে সন্ত্রাসকবলিত ইউরোপের বিভিন্ন অংশের মুসলিম নারীদের জীবনের কিছু বাস্তবতা। প্রতিদিনের জীবনযাপনকে অনেকেই একটি যুদ্ধ কিংবা সংগ্রাম হিসেবে অভিহিত করেছেন। ফ্রান্সে জন্মেছেন এবং বেড়ে ওঠেছেন এমন অনেকে জানিয়েছেন, তাদেরও শুনতে হয় ‘বাড়ি ফিরে যাও’ এমন তীর্যক মন্তব্য। আদালত মুসিলিম নারীদের সাঁতারের এই বিশেষ পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলেও বিতর্ক থেমে নেই। প্যারিসের উপকণ্ঠের পাতিনে বসবাসকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আমর (৩০) লিখেছেন, ‘আমাদের বছরের পর পছর নোংরা ও অশালীন চাহনি ও হুমকিদান সহ্য করতে হয়েছে। (স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার পরও) আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে।’ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, তাসলিমা তার পরিবার নিয়ে ফ্রান্স ত্যাগ করার কথা ভাবছেন।

লরি আবুজেইর (৩২) নামের আরেক নারী জানিয়েছেন, তিনি এখন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তোলাউসে একটি বেবি কেয়ার হোম খোলার চিন্তা করছেন। কারণ এতে তাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবে না এবং তার হিজাব নিয়ে কেউ কটূক্তি করবে না কিংবা বাধা দেবে না।

অনেক নারী জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে শার্লি এবদো পত্রিকা অফিসে হামলা এবং পরে ব্রাসেলস, প্যারিস ও নিস শহরে হামলার পর মুসলিম বিদ্বেষ বহুগুণ বেড়ে গেছে। হালিমা জালাব বোগুয়েরা (২১) নামের এক ছাত্রী অবশ্য বলেছেন, ২০১২ সালে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পরই মুসলিমবিদ্বেষ বেড়ে যায়। তিনি লিখেন, ‘আমাদের প্রতি লোকেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন কটূক্তি করছে। মুসলমানরা ‘ফিরে যাও’ বলতে এখন আর কারো মধ্যে দ্বিধা বা ভয় কাজ করে না।’

বেলজিয়ামের জেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী দিনা স্রজি লিখেছেন, ‘যখন বুরকিনি বাজারে এসেছে, আমি খুবই খুশি হয়েছি। কারণ আমার বোন ছুটিতে তার সন্তানদের নিয়ে দ্বীপে সময় কাটাতে পারবেন। বুরকিনি নিয়ে এতসব নাটকের শুরুতে আমি ভেবেছি, ‘এটা বড় কিছু নয়। ক্ষুদ্র মানসিকতার কিছু লোকের ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টামাত্র, যারা কখনোই কল্যাণকর কিছু করতে পারে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পুরো ইউরোপই আমাদের বিপক্ষে চলে গেছে। এটি কেমন আধুনিক যুগ যেখানে উলঙ্গপনাকে গ্রহণ করা হবে কিন্তু সৈকতে শরীর আবৃত করা যাবে না।’

ফ্রান্সের লিয়ন শহরের বাসিন্দা হাজের জেননৌ নিস শহরের সমুদ্র সৈকতে বুরকিনি পরা এক মহিলার সাথে পুলিশের দূর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘(এ ঘটনা দেখে) স্কুলে আমার প্রথম দিনটির কথা মনে পড়ে গেল। সেদিন শিক্ষক অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করেছিলেন। আমাকে অপদস্ত করা হয়েছিল। আর আজ আমি আবারো মর্মাহত হলাম। এই মহিলাকে তার পোশাক খুলতে বাধ্য করা দেখে নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, এসব কবে শেষ হবে?’ ১৬৩

দৈনিক নয়াদিগন্ত ১২ আগস্ট ২০১৬ ব্রিটেনে “ধর্মের কারণেই বঞ্চিত হচ্ছেন মুসলিম নারীরা” নামে আরেকটি খবর পরিবেশন করে। ওই খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে মুসলিম নারীরাই অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী, এমনকি অন্য নারীদের তুলনায় তাদের বেকারত্বের হার তিনগুণ বেশি। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ব্রিটেনে এমপিদের তৈরী করা এক রিপোর্টে। এমপিদের দ্যা উইমেন অ্যান্ড ইকুয়ালাইটস কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ভাষাগত দক্ষতা থাকা সত্বেও খ্রিস্টান নারীদের চেয়ে প্রায় ৭১ শতাংশ বেশি মুসলিম নারীই বেকার রয়েছে। এমনকি বৈষম্যের শিকার হওয়ার ভয় ও কাজের পরিবেশের কারণেও অনেক মুসলিম নারী চাকরির আবেদন করেন না।

সম্প্রতি জাপানও তাদের দেশে মুসলিমদের নজরদারীর রক্ষায় আইন তৈরী করার জন্য ভাবছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। মোদ্দাকথা, মুসলিমরা সমস্ত অমুসলিম রাষ্ট্রসমূহে বিভিন্নভাবে যাচ্ছেতাই হয়রানি ও হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। অথচ একইভাবে বিভিন্ন ধর্মের লোক ওসব রাষ্ট্রে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে বসবাস করে থাকলেও মুসলমানরা তা পারছে না। বিভিন্ন প্রতিবেদন ও রিপোর্টই তার প্রমাণ। এর কারণ শুধু একটাই যে ওরা অমুসলিম আর এরা মুসলিম।

সুতরাং পাশ্চাত্যদের মুসলিমদের প্রতি তাদের বৈরিতা ও বৈষম্যের ধরন দেখে এটাই প্রতীয়মান হয় যে তাদের কাছে মুসলমানরা কোনো মানুষ বলে পরিগণিত হয় না। কেননা, হিংস্র-হায়েনার প্রতি তাদের মায়া-মমতা প্রদর্শন করতে দেখা গেলেও সেটুকু মুসলমানদের প্রতি করতে মোটেও দেখা যাচ্ছে না। বোধকরি পশুর চাইতেও বেশি তারা মুসলমানদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করে থাকে।

লেখকের সভ্যতার দ্বন্দ্ব ও আগামী দিনের পৃথিবীতে ইসলাম


আরো সংবাদ



premium cement
ইউরোপ ও কিরগিজস্তানগামী শ্রমিকদের বহির্গমন ছাড়পত্রে অনিয়ম চুয়েট বন্ধ ঘোষণা : ভিসি অফিসে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তালা এলএনজি ও সার আমদানিসহ ক্রয় কমিটিতে ৮ প্রস্তাব অনুমোদন মাহাথিরের ছেলেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু থাইল্যান্ডে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে দুর্ঘটনা ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া- জেগেছে রাঙা মঞ্জুরি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৫ জন গ্রেফতার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে উত্তরের ১২ উপজেলায় মানববন্ধন, সমাবেশ প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে : রিজভী উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের ধারা ক্ষুণ্ণ হবে : সিইসি

সকল