যেকারণে খ্রিস্টানরাই ক্রিসমাস নিষিদ্ধ করেছিল
- বিবিসি
- ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৪
ডিসেম্বর মানেই খ্রিস্টানদের জন্য উৎসবমুখর একটা সময়। আগেকার দিনের ব্রিটেনেও বিষয়টা তেমনই ছিল।
যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনকে ঘিরে তখন পুরো মাস জুড়ে সাধারণ মানুষজন নানা ধরনের হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকতেন। পানশালাগুলোতে লেগে থাকতো প্রাণবন্ত লোকজনের ভিড়। পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সবাই খাওয়া দাওয়া গান বাজনার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাতেন।
তবে বিশুদ্ধতাবাদী খ্রিস্টানরা এগুলোকে পাপাচারিতা বলে মনে করতেন। অনেকসময় অবশ্য বাড়াবাড়িও করতেন অনেকে।
বিশুদ্ধতাবাদী ধারার খ্রিস্টান কারা?
১৬৪৪ সালে বিশুদ্ধতাবাদী খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারা ছিলেন প্রটেস্টান্ট খ্রিস্টান বিশ্বাসের অনুসারী। তাদের মতে এসব বর্বর ও ধর্মহীনদের উৎসব, যার সাথে খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের কোন সম্পর্ক নেই।
তারা বলতেন ২৫শে ডিসেম্বর যে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বাইবেলে এমন তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। সেখানে তাই বেশ কিছুদিন ক্রিসমাসের সাথে সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিলও। এমনকি সেদিন গির্জাগুলোতে ধর্মীয় প্রার্থনাও অবৈধ ছিলও।
আমেরিকাতেও বিশুদ্ধতাবাদী খ্রিস্টানরা এই উৎসবকে ধর্মবিরোধী বলে মনে করতো। সেখানেও কিছু এলাকায় একই কারণে ক্রিসমাস নিষিদ্ধ ছিলও। যেমন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে ১৬৫৯ থেকে ১৬৮১ সাল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত ছিলও।
যিশুর জন্ম আসলে কবে?
প্রচলিত বিশ্বাস হলো যিশুখ্রিস্ট ২৫শে ডিসেম্বর জন্ম নিয়েছেন। কিন্তু এনিয়ে প্রচুর বিতর্কও রয়েছে। কিছু ধর্মতত্ত্ববিদ মনে করেন তার জন্ম আসলে শীতকালে নয় বরং বসন্তে।
কারণ যিশুখ্রিস্টের জন্মকে ঘিরে যেসব গল্প প্রচলিত রয়েছে তাতে মাঠে ভেড়ার পালের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাদের বক্তব্য হলও শীতকাল হলে মাঠে ভেড়া থাকার কথা নয় কারণ তখন খুব ঠাণ্ডা হওয়ার কথা।
অনেকেই আবার মনে করেন হয়ত শরৎকালে যিশুর জন্ম। কিন্তু এটা ঠিক যে বাইবেলে যিশুখ্রিস্টের জন্মের কোন তারিখ উল্লেখ নেই।
কিভাবে আবার ফিরে এলো ক্রিসমাস?
এসব নিষেধাজ্ঞা সহজে মেনে নেননি অনেকেই। গান গাওয়া, পান করা আর উৎসবের অধিকারের দাবিতে ব্যাপক প্রতিবাদও হয়েছে। ইংল্যান্ডে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত ক্রিসমাস নিষিদ্ধ ছিলও। চার্লস দ্বিতীয় যখন সিংহাসনে বসেছিলেন তখন এ সম্পর্কিত আইনটি রহিত করা হয়।
আর এভাবেই শেষমেশ ক্রিসমাস ফিরে এলো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা