২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হজে মধুর ঘটনা

-

পবিত্র হজ শুধু একটি ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, এটি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মুসলিমের এক অপূর্ব মিলনমেলাও বটে। এ মিলনমেলায় ঘটে যায় এমনসব ঘটনা, যা শুনলেও মন ভরে ওঠে অন্য রকম আনন্দে। এবারের হজে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা থেকে তেমনই দু’টি ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো :

আরাফা ময়দানে সন্তান প্রসব
জর্দান থেকে হজে গিয়েছিলেন হাজি মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী। হজের নিয়ম অনুসারে যে দিন তাদের আরাফাতের ময়দানে রাত কাটানোর কথা, সেদিনই প্রসব বেদনা উঠল তার স্ত্রীর। দ্রুত তাকে নেয়া হলো আরাফাতে অবস্থিত জাবাল আল-রাহমা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে জন্ম হলো সুস্থ সুন্দর একটি ছেলেশিশুর।

হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা: ওয়াদ্দাহ আবদুল সাত্তার নিজে বের হয়ে এসে শিশুর বাবাকে সুসংবাদটি দিলেন। খবর শুনে আবেগে আপ্লুত হাজী মোহাম্মদ। তিনি ভাবতেও পারেননি পবিত্র হজ পালনের সময় সন্তানের বাবা হবেন। তিনি ডাক্তারের কাছে তার নাম জানতে চাইলেন। যখনই শুনলেন ডাক্তারের নাম ওয়াদ্দাহ, বললেন, আমার ছেলের নামও তাহলে হবে ওয়াদ্দাহ।

হাজী সাহেবের কথা শুনে ডাক্তার সাহেবও অবাক! বললেন, এটা আমার জন্য চমৎকার একটা উপহার। আমি এমনটা ভাবতেও পারিনি। আমার সত্যিই অসম্ভব খুশি লাগছে।

এ দিকে প্রসূতি মা যাতে হজ সম্পন্ন করতে পারেন দ্রুত সে ব্যবস্থা নেয় সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা প্রসূতি মাকে আরাফা ময়দান থেকে রাতযাপনের সুবিধার্থে মুজদালিফায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মিনায়ও নেয়া হয়। স্ত্রীর প্রতি এত যতœ নেয়া দেখেও আপ্লুত হাজী মোহাম্মদ।

১৫ বছর পর ভাইবোনের দেখা
ইসরায়েলি দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে আজ থেকে ৩০ বছর আগে পরিবারের সাথে প্যালেস্টাইন ছেড়ে লেবানন চলে গিয়েছিলেন দুই ভাইবোন মূসা ও লতিফা। ভাইটির বয়স তখন দুই বছর মাত্র। এ সময় লতিফা চলে যান মিসর। তারপর মাঝে একবার দেখেছিলেন ভাইকে। আর এবার সৌদি বাদশার বদান্যতায় ফিরে পেলেন ভাইকে। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ভাইকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। ইন্টারনেট।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement