২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার জ্বর নিয়ে রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি চীনা নারী

এবার জ্বর নিয়ে রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি চীনা নারী - প্রতীকী

এবার জ্বর এ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জাংওয়াই নামের একজন চীনা নারী নাগরিক। রোববার দুপুরে তিনি ভর্তি হলে তাকে হাসপাতালের আইসুলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার শরীতে করোনার কোন লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআর।

জাংওয়াই নীলফামারীর ইপিজেডে কর্মরত আছেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিরে রংপুর মেডিক্যালে চারজন ভর্তি হয়েছে।এর মধ্যে তিনজন চীন ফেরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। ওই তিনজনের শরীরেও করোনা ভাইরাসের আলামত নেই বলে পরীক্ষা নিরীকষা শেষে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক হুমায়ুন কবির নোমান জানিয়েছেন, জ্বর অনুভূত হওয়ায় রোববার বেলা পৌনে ১ টায় নীলফামারীর ইডিজেড থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জাংওয়াই নামের ওই চীনা নারী নাগরিককে। তার শরীরের নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআর এ খবর দেয়া হয়। ল্যাব টেকনিশয়ানরা বিকেলে সাড়ে চারটায় তার শরীরের ঘাম, লালা ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন। তিনি জানান, ওই চীনা নারী নাগরিক নীলফামারীর ইপিজেডে সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি চীনা নাগরিকের মালিকানাধীন স্কেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় চাকরী করতেন। তার বাড়ি চীনের সিচন প্রদেশের সিং ডু শহরে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে নিউ ইয়ার ভ্যাকেশন শেষ করে তিনি ইপিজেডের ওই কারখানায় এসেছিলেন।

নীলফামারী ইপিজেডের সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজার হাসিব জানান, চীনা ওই নাগরিক স্বামীসহ তাদের কারখানায় কাজ করতেন ৪ বছর থেকে। গত জানুয়ারী মাসে নিউ ইয়ার ভ্যাকেশনের জন্য চীন যান। ৪ ফেব্রুয়ারি এসে কাজে যোগ দেন। রোববার সকালে তার সামান্য জ্বর অনুভূত হলে আমরা তাকে রংপুর হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি ভালো আছেন।

করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. দেবেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছেন, ওই চীনা নাগরিককে হাসাপাতলের করোনা ইউনিটে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আইইডিসিআর এর ল্যব টেকনিশিয়ানরা তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ফিরেছেন। সেখান থেকে ফলাফল আসার পর তার শরীরে কোন ভাইরাস আছে কিনা তা জানা যাবে। এ নিয়ে মোট চার জন করোনা ইউনিটে ভর্তি হলেন।

হাসাপাতালের আইসুলেশন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় চীন ফেরত শিক্ষার্থী তৌকির হোসেন ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে ঢাকা আসেন। সেখান থেকে আসেন তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর কাদের মন্ডলের ছেলে। চিনের থাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন তিনি। জ্বর ও বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইইডিসিআর তার শরীরের নমুনা সংগ্রহের পর জানায় তিনি করোনা ভাইরাস মুক্ত।

অন্যদিকে ৮ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী-ডোমার মিরজাগঞ্জের চীন ফেরত তাশদীদ হোসেন ভর্তি হয়েছিলেন। তার শরীরের নমুনা পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস না পাওয়ায় তাকে ১২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এছাড়াও ৯ ফেব্রুয়ারি বমি ভাব নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে চলবলা মদনপুরের চীন ফেরত শিক্ষার্থী আল আমিন। তাকে সেদিনই ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তারও লালা, ঘাম ও জ্বর পরীক্ষা করে কোন করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায় নি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল