সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের দূর্গামিল ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। বুধবার বেলা ৩টার দিকে রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মিভূত হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পের মোজাম্মেলের বাড়ির চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশেপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তে পুরো এলাকা অগ্নিকান্ডের গ্রাসে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস, নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস ও রংপুরের তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। তারা প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিকান্ডে মোজাম্মেল, কাল্লু, আরমান, সুজন, আজাদ, মোস্তফা, কাল্লু, জাহিদ, সোলেমান কোরেশী, বেচন, শাহাজাদা, মূর্তজা, নয়ন, নেহাল, বিক্কু ও কালার বাড়ি, ঘরের মধ্যে রক্ষিত আসবাবপত্র, গৃহস্থালী জিনিসপত্র, কাপড়, বিছানাপত্রসহ সকল প্রকার অস্থাবর সম্পদসহ নগদ ৭ লাখ টাকা পুড়ে যায়। এতে ১৭টি পরিবারের মোট ৭০ লাখ টাকা ক্ষতিসাধণ হয়েছে।

সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, ক্যাম্পে বসবাসকারী দরিদ্র লোকগুলোর সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এতে তারা চরম অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছে। খোলা আকাশে নিচে তাদের অবস্থান হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে আমরা পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে দাঁড়িয়েছি। প্রাথমিকভাবে অসহায় মানুষগুলোর জন্য সহযোগিতা স্বরুপ খাবার ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে গেছে।

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার ঢাকা থেকে মুঠোফোনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিয়েছেন এবং পৌর পরিষদকে সর্বক্ষণ তাদের দেখভাল করাসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতের তাদের পূনর্বাসনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি অসহায় মানুষগুলোকে আস্বস্ত করেছেন।