২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
হত্যার বিচারসহ ক্ষতিপূরণের দাবি

বিএসএফের গুলিতে নিহতের লাশ ফিরে পেয়েছে পরিবার

বিএসএফের গুলিতে নিহতের লাশ ফিরে পেয়েছে পরিবার - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার (২২) লাশ ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনার বিচারসহ ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় ডিমলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উপজেলার পূর্বছাতনাই গ্রামে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

এর আগে রাত ৯ টায় লালমনিহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোরে এক বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের কুচলিবাড়ি থানা পুলিশ ডিমলা থানা পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে। এ সময় ৫১ বডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইছাহাক মন্ডল, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন শেখ, ডিমলা পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান, এবং ভারতের ৪৫ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) উপ-অধিনায়ক এসওয়াই খেঙ্গারু, কুচলিবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ সুবাস চন্দ্র রায়। পরে ডিমলা থানা পুলিশ একটি লাশবাহী এম্বুলেন্সে বাবুল মিয়ার লাশ নিয়ে হাজির হন তার পরিবারের কাছে। এ সময় ২ সপ্তাহ ধরে লাশের জন্য অপেক্ষায় থাকা মা,বাবা,ভাই,বোন ও স্ত্রীর গগন ফাটানো আহাজারিতে প্রতিবেশিদের মাঝে নেমে আসে পিনপতন শোকের ছায়া। এ ভাবেই কেটে রাতের সময় টুকু।

এমতাবস্থায় বুধবার সকাল ১১ টায় দিকে কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাযে জানাযা শেষে পুর্বছাতনাই কেন্দ্রিয় কবরস্থানে বাবুল মিয়ায় লাশ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসীর দাবি- বিনাবিচারে বাবুলকে ইন্ডিয়ান বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। তারা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ট বিচারসহ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।

উল্লেখ যে, ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে ডিমলা উপজেলার সীমান্তে তিস্তা নদীর চরে ৭৭২ নং পিলারের কাছে মোহাম্মদ বাবুল মিয়া (২২), সাইফুল ইসলাম (১৪)সহ কয়েকজন বাংলাদেশী ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে। এ সময় ভারতের উড়াল বিওপি’র বিএসএফ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনা স্থলেই মোহাম্মদ বাবুল মিয়া (২২) নিহত হয়। সে উপজেলার কালীগজ্ঞ গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। গুলির ঘটনায় উপজেলার ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের গোলজার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৪) আহত হলে অন্যরা পালিয়ে আসে। বিএসএফ আহত সাইফুলকে আটকসহ নিহত বাবুলের লাশ তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থানা পুলিশ নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে হিমগারে রাখে।
অপর দিকে এ লাশ ফিরে পাওয়ার জন্য নিহতেরর পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে দাবি করে আসছিলো। এ ঘটনার দৈনিক নয়া দিগন্তসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। অবশেষে ঘটনার ২ সপ্তাহ পরে নিহতের লাশ ফিরে পায় তার পরিবার।


আরো সংবাদ



premium cement