১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলবাড়ীতে ১৩ দিন ধরে খেয়াঘাট বন্ধ, চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ

-

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর-গোরকমন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর খেয়া ঘাটে (ঘেরুরঘাট) ১৩ দিন ধরে পারাপার বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। এই খেয়া ঘাট থেকে লালমনিরহাট জেলা শহরে দুরত্ব কম হওয়ায় প্রতিদিনেই উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট, পশ্চিম-ফুলমতি, গোরকমন্ডল,চর-গোরকমন্ডল এলাকার শতশত মানুষ এই ঘাট দিয়ে লালমনির হাটে যাতায়ত করে।

গোরকমন্ডল বিডিআর বাজার ও আনন্দ বাজারের মুদি দোকানদার ,কাপড় ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে দোকানের মালামাল ক্রয় করে এই ঘাট দিয়েই বাজারে আসে। কলার আড়ত হিসাবে খ্যাত চর- গোরকমন্ডল এলাকার কলা ব্যবসায়ীরা জীবন-জীবিকার তাগিদে এই ঘাট পাড়ি দিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলাসহ মোগলহাট, দুরাকুটিহাট, মেগারাম, ভাটিবাড়ী ও কোদাল খাতা হাট-বাজারে গিয়ে কলা বিক্রি করে। তাছাড়া লালমনিরহাট সরকারী কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষার্থী এই ঘাট দিয়ে প্রতিষ্ঠানে যায়। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ দিন থেকে খেয়া ঘাট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

শনিবার দুপুরে ঘেরুরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু মানুষ নৌকায় করে ধরলা নদী পার হবার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সকাল থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও ঘাটের ইজারাদার বা নৌকার মাঝি কারও দেখা না পেয়ে অনেকেই হয়রান হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলার মিজান মিয়া নামের এক ব্যক্তি কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ হতে মানুষ, যানবাহন ও মালামাল পারাপারের জন্য ঘেরুর ঘাট ৭০ হাজার টাকায় ইজারা নেন। নিয়ম অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ঘাট পরিচালনা কথা থাকলেও ১৩ জুলাই পর্যন্ত তা চালু হয়নি। আর পুরাতন ইজারাদার ওবাইদুল হক তার নৌকা ও ঘর সড়িয়ে নিয়েছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন পাড়াপাড়কারী ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

লালমনিরহাট সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল মিয়া, নুরনবী, মুদি দোকানদার নুর ইসলাম, আশরাফ আলী জানান, ঘাট বন্ধ থাকায় ১৩ দিন ধরে স্কুল কলেজ যেতে পারছি না, আনতে পারছি না দোকানের মালামাল।

কলা ব্যবসায়ী নুর ইসলাম, মগর আলী জানান, ১৩ দিন ধরে ঘাট বন্ধ থাকায় কলা বাড়ীতে পঁচে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে পানির দামে কলা বিক্রি করছি। ঘাট এলাকার স্কুল শিক্ষক রেদওয়ানুল ইসলাম, বাসিন্দা মতিয়ার রহমান জানান, ঘাট পারাপার ১৩ দিন ধরে বন্ধ থাকায় দ্রুত ঘাট চালুর জন্য গত ৮ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে শতশত মানুষের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও ঘাট চালু হচ্ছে না।

ঘাট ইজারাদার মিজান মিয়াকে ফোন করে ঘাট বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সদুত্তোর না দিয়ে ঘাট বন্ধ থাকার বিষয়ে খবর প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মাছুমা আরেফিন জানান, ঘাট চালুর করার বিষয়ে কোন আবেদন পত্র পাইনি। তাছাড়া জেলা পরিষদ থেকেও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি । খেয়া ঘাট কেন বন্ধ আছে বিষয়টি ভাল করে খোঁজ খবর নিয়ে ঘাট চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোছাঃ আলেয়া খাতুন জানান, খেয়াঘাট কেন বন্ধ রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়ে ইজারাদারকে চিঠি দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল