বিদ্যালয় মাঠে বালু ও পাথরের স্তূপ, বিটুমিনের ধোঁয়ায় পাঠদান বিঘ্নিত
- জাকিরুল ইসলাম, বিরামপুর (দিনাজপুর)
- ২১ জুন ২০১৯, ১৮:২৬
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার হরিহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার অভিযোগ উঠেছে ‘মোজ্জাফর ট্রের্ডাস’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া, বিদ্যালয় মাঠে আগুনের চুল্লিবসিয়ে চলছে বিটুমিন গলানোর কাজ। বিটুমিনের ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকে পুরো বিদ্যালয়। শিশুদের পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রায় ২০দিন আগে বিরামপুর-কাটলা ৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে ঠিকাদারের লোকজন বিদ্যালয় মাঠের একপাশে বালু ও পাথর স্তূপ করে রেখে যান। এরপর তারা বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ দখল করে বালু ও পাথর রাখে। মাঠে ৬-৭ দিন ধরে মাঠে বিটুমিন গলানোর কাজ চলছে। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় দম বন্ধ হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হরিহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ দখল করে বালু ও পাথর রাখা। শ্রেণিকক্ষের সামান্য দূরে চুল্লি জ্বালিয়ে বিটুমিন গলানো হচ্ছিল। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান কবির, সাজু, নুসরাত জাহান জানায়, শ্রেণিকক্ষে ধূলা-বালি ঢুকে বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। কালো ধোঁয়ায় দম আটকে আসে। মাঠে খেলাধুলা ও চলাফেরা করা কঠিন হয়ে গেছে।
২নং কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা করে কোন উন্নয়নমূলক কাজ হতে পারে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে যোগাযোগ না করেই এমন কাজ করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা বেগম বলেন, হরিহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকতারুজ্জামান হোসেনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাই। পরে, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, আমি এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে এসব নির্মাণসামগ্রী দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানকে বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা