২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জোড় করে গর্ভপাত ঘটানো কবিতা এখন মৃত্যুর মুখে

- প্রতীকী ছবি

স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে জোরপূবক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বৈদপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কবিতা বেগমের বাবা বুদারু মামুদ। রোববার কবিতার হঠাৎ গর্ভপাত হলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

তাকে ওই দিনই কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

জানা গেছে, গাড়াগ্রাম বৈদপাড়া গ্রামের বুদারু মামুদের মেয়ে পোশাক কারখানার কর্মী কবিতা বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের ধাইজান পাড়াগ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিলন মিয়া ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাধে উভয়ের মাঝে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায় তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। ওই শিশুর বয়স এখন ৩ বছর।

এর মধ্যে কবিতা আবারো গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গর্ভধারণের বয়স যখন ৬ মাস কবিতা তখন স্বামীকে নিয়ে বাড়ীতে আসে। শাশুড়ী মোতাহারা বেগম বউয়ের দ্বিতীয়বার গর্ভধারনের বিষয় জানতে পেরে তাকে গর্ভপাত ঘটানোর চাপ সৃষ্টি করেন। এতে কবিতা রাজী না হলে স্বামী মিলন তাকে মারপিট শুরু করে। স্বামী ও শাশুড়ীর শারীরিক আত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কবিতা বাধ্য হয়ে স্বামী ও শাশুড়ীর নিয়ে আসা ওষুধ খান।

ফলে গত রোববার কবিতার গর্ভপাত ঘটে এবং একটি ৬ মাসের ও বেশি বয়সের মৃত্যু ছেলে শিশু প্রসব করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কবিতা এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। চিকিৎসক বলছে তার শরীরে ৬ পাউন্ড রক্ত না দিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

স্বামী মিলন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকা আছি। আমার স্ত্রীকে জোর করে ওষুধ খাওয়ানো হয়নি সে নিজেই খেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement