২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

পুলিশের সহযোগীতায় যুবলীগ নেতার বাড়ীতে হামলা

- ফাইল ছবি

রংপুরের পীরগাছায় পুলিশের সহযোগীতায় আসামীর বাড়িতে বাদী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশের দুই এসআইকে তিন ঘন্টা আটক করে রাখে।

ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামে সম্প্রতি সময়ে অটো রিকসা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি দুটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার আসামী ধরতে পীরগাছা থানার এসআই কনক ও আতিক ছাওলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহ আলমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আসামী খুঁজতে থাকে।

এসময় পুলিশের সাথে থাকা মামলার বাদী আশিকুর রহমান আকাশ শাহ আলমের পিতা আব্দুর রহমানের ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে। ভাংচুরের সময় শাহ আলম ও তার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে পুলিশ আকাশের পক্ষ নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ভাংচুরের একপর্যায়ে এলাকাবাসী আকাশ ও পীরগাছা থানার এসআই কনক ও আতিককে আটক করে।

দীর্ঘ ৩ ঘন্টা আটক থাকার পর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক লিটন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের সহযোগীতায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে পুলিশ সাদা পোষাকে আসামী ধরার নামে বাদীকে ভাংচুরের সহযোগীতা করায় এলাকার শত শত লোক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ছাওলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আশিক পুলিশের সহযোগীতায় আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় এলাকাবাসী বাদী আশিক ও পুলিশের দুই এসআইকে আটক করে।

ঘটনাস্থলে আটক পীরগাছা থানার এসআই কনক বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের আটক করা হয়নি। মামলার বাদী আশিককে আটক করা হয়েছিল।

পীরগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক লিটন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় ঘটনাস্থলে আটক দুই এসআইকে উদ্ধার করে থানায় পাঠাই।

পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল