২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত স্বামী, হাতেনাতে ধরে ফেললেন স্ত্রী

আটক স্বামী - ছবি : নয়া দিগন্ত

দীর্ঘদিন থেকে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে জেনেও স্বামীর পরিবর্তনের আশায় নানা চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু কোনো ফল না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্বামীকে শোধরানোর জন্য হাতে নাতে আটক করেছে এক গৃহবধু। রোববার সকালে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে স্ত্রী সন্তানকে ফেলে প্রেমিকার সাথে ফস্টিনষ্টি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন লম্পট স্বামী। নিজ উপজেলা ছেড়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ঝাড়ুয়া গ্রামের গৃহবধূ পলি আক্তার। আটক স্বামী মিঠু চৌধুরী ও তার প্রেমিকা রাফিয়া ইয়াসমিন নিলি।  প্রেমিকা ও স্বামীকে এখন এখন চেয়ারম্যানের বাড়িতেই আটক রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সরেজমিনে গেলে গৃহবধূ পলি উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ঝাড়ুয়া গ্রামের প্রতিবেশী মো: আব্দুল মজিদ চৌধুরীর ছেলে মোরসালিন চৌধুরী মিঠুর সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের প্রায় ২ যুগ পেরিয়ে গেলেও স্বামী মিঠু সংসারে মনোযোগ নেই। এদিকে তাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। তারপরও মিঠু (৪০) অন্য নারীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিপথে চলছে। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিতন্ডা হলেও মিঠু কোনোভাবেই ওই পথ থেকে ফিরে না আসায় স্বামীকে শায়েস্তা করতে পলি তাকে হাতেনাতে আটকের জন্য ওৎপেতে থাকেন। আর তাতে সাফল্যও পেয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, মিঠু এখন পাশের কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের নয়ানখাল চেয়ারম্যানপাড়ার ডাঙ্গারহাট এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী রাফিয়া ইয়াসমিন মিলি নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। রোববার সকাল ১১টায় লোক মারফৎ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নিলির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মিঠু ও নিলিকে অসামাজিক কাজ করার সময় হাতে নাতে আটক করে।

এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গোলযোগ শুরু হলে পলি জানায় মিঠু তার স্বামী। কিন্তু এসময় নিলিও দাবী করে যে মিঠুর সাথে তার বিয়ে হয়েছে। সে তার স্বামী। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী মিঠু ও নিলিকে আটক করে বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুর কাছে হস্তান্তর করেন। তারা এখন চেয়ারম্যানের বাড়িতেই আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে নিলি জানান, আমার আত্মীয় হওয়ায় পহেলা বৈশাখের দাওয়াতে আমাদের বাড়িতে মিঠু মামা আসেন। এরপর পলি মামী উপস্থিত হয়ে অহেতুক বিশৃঙ্খলা করলে এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। পরে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা আমাদের চেয়ারম্যানের নতুন বাড়িতে ধরে এনে আটকে রেখেছে।

বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুর সাথে ০১৭১২৭৮৭৮০৫ নম্বরের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশকে দিয়ে নিলি ও মিঠুকে আমার হেফাজতে এনে রেখেছি। ছেলের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement