১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৈয়দপুরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

এমদাদুলের লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গাছে ঝুলন্ত এমদাদুল (৪৫) নামে এক ফুচকা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুর শহরের ওয়াপদা নতুন হাট দক্ষিণপাড়া থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, ওয়াপদা নতুন হাট দক্ষিণপাড়ার মৃত নসির উদ্দিনের ছেলে এমদাদুলের সাথে প্রতিবেশী মৃত বাছাই মাহামুদের ছেলে ওসমান গনীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে এমদাদুলের বাড়িতে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায় ওসমানের পরিবারের লোকজন। এসময় তারা জমির সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলে। এমদাদুলের পরিবার প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা ঘরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করে এবং শো-কেচে রক্ষিত ৫৮ হাজার টাকা ও স্বর্নের চেন লুট করে নিয়ে যায়।

এ নিয়ে এমদাদুল ওইদিন রাতেই সৈয়দপুর থানায় ওসমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য ওসমানের পক্ষ থেকে এমদাদুলকে নানা প্রকার হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

এমতাবস্থায় ১০ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মালেক, রমজান ও বাবু বাড়ি থেকে এমদাদুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর রাত ৯টায় মালেক, রমজান ও বাবু আবারো বাড়িতে গিয়ে এমদাদুলকে ডাকতে থাকে। এসময় এমদাদুলের স্ত্রী তসলিমা তাদেরকে বাড়ির ভিতরে যেতে বললে তারা বাড়ির ভিতরে যায় এবং এমদাদুলকে খোঁজ করে। এতে এমদাদুলের পরিবারের লোকজনের মধ্যে আশংকা দেখা দিলে মালেক তাদের আস্বস্ত করে বলে ভয়ের কোনো কারণ নেই, কাল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

এরপর রাত ১০টায় এমদাদুলের বড় মেয়ে মৌসুমী মোবাইলে বাবার সাথে কথা বললে সে জানায় একটু পরেই বাসায় আসতেছি। কিন্তু তার পর থেকে এমদাদুলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং সে রাতে বাড়িতে ফিরেনি।

এ পরিস্থিতিতে বাড়ির লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ভোর থেকে এমদাদুলকে খোঁজার এক পর্যায়ে বাড়ির পেছন থেকে লোকজনের চিৎকার শুনতে পায়। তারা এগিয়ে গেলে দেখতে পায় বাড়ির পিছনে ওসমানের জমির কাছে একটি গাছে এমদাদুলের লাশ ঝুলছে। এ ঘটনার পর থেকে ওসমানের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠায়।

এদিকে এমদাদুলের পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে এমদাদুলের স্ত্রী তসলিমা জানান, বুধবার সন্ধায় মালেক, রমজান ও বাবু আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তারাই আবার রাত ৯টায় বাড়িতে এসে আমার স্বামীর খোঁজ করে। এরপর থেকে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাই এবং সকালে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেলো। এতে আমি মনে করি ওসমানের নির্দেশে তার ছেলে রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মোতালেব, লাকী এবং প্রতিবেশী মালেক, রমজান ও বাবু সম্মিলিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত

সকল