২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নববধূর ঝুলন্ত লাশ, নানা প্রশ্নে তোলপাড়

নববধূর ঝুলন্ত লাশ, নানা প্রশ্নে তোলপাড় - ছবি : সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের তিন মাসের মাথায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৩ মার্চ শনিবার সকালে সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের পূর্ব পাশে পুলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত গৃহবধুর নাম হাবিবা (২০)। তিনি ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের (২২) স্ত্রী।

জানা যায়, বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে নীলফামারী সদরের মার্কাস মসজিদ পাড়ার হারুন মোল্লার মেয়ে হাবিবার সাথে বিয়ে হয় সৈয়দপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হাসানের ছেলে মফিজুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর পরিবার থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। এজন্য প্রায়ই তাকে মারধর করা হতো বলে হাবিবার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন।

হাবিবার চাচী গোলাপী জানান, বিয়ের পর থেকে হাবিবাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করত যৌতুকের জন্য। এনিয়ে হাবিবা তার বাবার কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাকে এভাবে মেরে ফেলা হবে তা তারা ভাবতেও পারেনি।

এদিকে মফিজুলের পরিবারের দাবি, হাবিবা আত্মহত্যা করেছেন। গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতের যেকোনো এক সময় সে বাড়ির বাইরে গোয়াল ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের তীরের সাথে আত্মহত্যা করে। হাবিবা কেন আত্মহত্যা করেছে তা তারা জানে না। তবে সে এ বিয়েতে রাজি ছিল না। সম্ভবত তার অন্য কোনোখানে সম্পর্ক ছিল।

গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করলেও হাবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়না তদন্ত বা থানায় নেয়া হয়নি থানা সূত্রে জানা গেছে।

একটি সূত্র মতে, গৃহবধূ হাবিবার মৃত্যুর ঘটনাটি সুরাহা করতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে হাবিবার পরিবারকে। এ কারণে হত্যার ঘটনা ঘটে থাকলেও সে বিষয়ে পুলিশ কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল