২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভাজতে গিয়ে গলে গেল প্লাস্টিকের চাল!

পরীক্ষা করা হচ্ছে কথিত প্লাস্টিকের চাল - ছবি : নয়া দিগন্ত

খাওয়ার অনুপোযোগী প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল সন্দেহে সোমবার গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ান এর দোকান থেকে ২ বস্তা চাল আটক করা হয়েছে। আটক চালের মধ্যে ১৫ কেজি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, শহরের মুন্সিপাড়ার রনি মিয়া রোববার বিকেলে ওই দোকান থেকে ৬ কেজি চাল কেনেন। বাড়িতে ভাত রান্নার পর খেতে তা বিস্বাদ লাগলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই চাল ভাজতে গিয়ে সেগুলো পুড়ে, গলে ও কুঁচকে গেলে সন্দেহ আরো গাঢ় হয়ে যায়। ফলে রনি মিয়া চাল নিয়ে সদর থানায় উপস্থিত হয়ে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহের অভিযোগ করেন।

তার অভিযোগ পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়কে বিষয়টি অবগত করেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করা হয়। এই ভ্রাম্যমাণ টিম ওই দোকানে অভিযান চালায়। এছাড়াও ডিবি রোডসহ আরো কয়েকটি চালের দোকানে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ টিমে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীও উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাকচাপায় পিকআপ ভ্যান চালক নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় রোববার গভীর রাতে লবণ বোঝাই ট্রাকের সাথে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে আল আমিন (৪০) নামে এক পিকআপ ভ্যান চালক নিহত হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা রংপুরগামী লবন বোঝাই একটি ট্রাক কালিতলা বাজার এলাকায় পৌঁছিলে হঠাৎ করেই সামনে থাকা টমেটো বোঝাই একটি পিকআপকে চাপা দেয়। এতে ট্রাকটি পিকআপের উপরে উঠে এবং পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ফলে ট্রাকের চাপা পড়ে পিকআপের চালক আল আমিন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও পিকআপ আটক করা হয়েছে।

২৩৮ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান
শিক্ষার্থী ২৩৮ জন আর শিক্ষক মাত্র দুজন। একজন প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক, এই দু শিক্ষক দিয়েই চলছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু ২৩৮ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান ও তাদের সামলানো দুজন শিক্ষকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পাঠ গ্রহণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য জানান, বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক ছিলেন সাতজন। এর মধ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তিনজন শিক্ষককে বিপিএড প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন-সবিতা রানী সরকার, ফিরোজ হোসেন ও মনিরুজ্জামান। দুজন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। এখন প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র দুজন শিক্ষক রয়েছেন। ক্লাসে পাঠদানের বাইরেও প্রধান শিক্ষককে অফিসিয়াল কাজ করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, এক বিদ্যালয় থেকে একসাথেই তিনজন শিক্ষককে বিপিএড প্রশিক্ষণে পাঠানো নজিরবিহীন। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেও কোনো ফল হয়নি। তিনি অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement