১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুর-৬ : প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের তালিকা বাতিলের দাবি

বিএনপি মনোনীত প্রাথী সাইফুল ইসলাম - ছবি : নয়া দিগন্ত

রংপুর- ৬ আসনের ১০৭ টি কেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেটিং পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া তালিকায় প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পরীক্ষিত ব্যক্তি দাবি করে ওই তালিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রাথী সাইফুল ইসলাম।

রোববার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদনে তিনি ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের নতুন তালিকা তৈরি করে তা খসড়া আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১২ টাং রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে আইনশৃঙখলা বাহিনী সম্ভাব্য ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিজাইটিং ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরির জন্য রাজনৈতিক পরিচয় যাছাই বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যে তালিকা দিয়েছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত নেতাকর্মী। এরমধ্যে ৯০ টি কেন্দ্রের বাছাইকৃত সম্ভাব্য প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কিভাবে ভোট কারচুপি করবে সে জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা ভোট যেখানেই দিক নৌকাকে বিজয়ী করার নকশা তৈরি করা হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া ওই সম্ভাব্য তালিকা বাতিল করে ভোটারদের আস্থা আছে এমন প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের তালিকা করে তা খসড়া হিসেবে প্রকাশ করার জন্য আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের জন্য আমরা এই আবেদন করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি আমাদের আবেদন গ্রহণ না করে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ডাইহার্টেড এসব নেতাদের দিয়ে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগের খসরা তালিকা প্রকাশ করেন তাহলে আমরা জনগনকে নিয়ে তা মোকাবেলা করবো।

বিএনপির এই প্রার্থী জানান, এদিন তিনি বিএনপির চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত মহাসচিবের চিঠিও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করেছেন।

এই আসনটিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তিনি শেষ মুহূর্তে আসনটি ছেড়ে দেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ জন। ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ১০৭ টি।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী নির্বাচিত হয়ে স্পিকার হন। ২০০৮ সালেও এখানে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে এখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হারিয়ে ৯০ হাজার ৭৩০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মন্ডল। এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৯৯১ ভোট।


আরো সংবাদ



premium cement
পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সকল