১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
লালমনিরহাট-১ আসন

জামায়াত নেতা সাজুকে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

জামায়াত নেতা সাজুকে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা - ছবি : সংগৃহীত

লালমনিরহাট (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা)-১ আসনে বিশিষ্ট শিল্পপতি, ক্রীড়া সংগঠক, সাহিত্যিক জামায়াত নেতা আবু হেনা মো: এরশাদ হোসেন সাজুকে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। বিগত ১০ বছরে এমপি মোতাহার হোসেনের কিছু উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীদের হাতে এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে হামলা-মামলার শিকার হয়ে অনেকে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ আতিয়ার রহমান আতিককেও বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বঞ্চিত করেন এমপি মোতাহার হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বাচ্চু। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের কথা জানা গেছে। এসব অন্যায় অত্যাচারের কারণে এবারে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এরশাদ হোসেন সাজুকে চায় সাধারণ ভোটাররা। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হাসান রাজীব প্রধানকে মনোনয়ন দিলেও এবারে তার জন্য নির্বাচিত হওয়া কঠিন ব্যাপার হবে বলে এলাকাবাসী জানান।

সরেজমিন গেলে এলাকাবাসী জানান, হাসান রাজীব প্রধান এলাকায় তেমন একটা পরিচিত মুখ নন। সেজন্যই এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মোতাহার হোসেনের সাথে লড়াই করে জয়লাভ করাটা তার জন্য কঠিন হবে। জনপ্রিয়তায় এরশাদ হোসেন সাজু এগিয়ে আছেন।

লালমনিরহাট-১ আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৭ জন ভোটার ছিলেন। এবার বেড়ে ভোটার তিন লাখ ৪৬ হাজার ১৩১ জন তাদের ভোট অধিকার প্রয়োগ করবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের তৎকালীন জেলা আমির মাওলানা হাবীবুর রহমান প্রায় ৭৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ প্রধান প্রায় ছয় হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এ উপজেলা নির্বাচনে এরশাদ হোসেন সাজু ৪৭ হাজার ভোট পেয়েও আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুলের কাছে হেরে যান। সব মিলিয়ে এবার সংসদ নির্বাচনে ২৩ দলীয় জোট থেকে প্রার্থী সাজুকে না দিয়ে হাসান রাজীব প্রধানকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ভোটারদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ২৩ দলীয় নীতিনির্ধারকের কাছে এলাকাবাসী সঠিক প্রার্থী নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।

জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২৩ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লালমনিরহাট-৩ ও ২ আসনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি। এবারে তারা এক আসনে এরশাদ হোসেন সাজুকে দেখতে চান। আসনটি হারানো যাবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনপ্রিয় নেতা সাজু জয়লাভ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।


আরো সংবাদ



premium cement