২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রথীশ হত্যামামলা : কারাগারে স্নিগ্ধার প্রেমিকের আত্মহত্যা

স্ত্রী স্নিগ্ধা, (ইনসেটে- উপরে অ্যাডভোকেট রথীশ, নিচে কামরুল) - ছবি : সংগ্রহ

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে খুন হওয়া রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পিপি ও জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকোট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী কারাগারে বন্দি স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ভৌমিকের প্রেমিক কামরুল ইসলাম কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল এই মামলার অন্যতম আসামী এ্যডভাকেট রথীশের অফিস সহকারী মিলন মোহন্ত (৩০) একই হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গিয়েছিলেন।

রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, এ্যডভোকেট বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামী তার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক কামরুল ইসলাম বেশ কিছু দিন থেকে নামাজ পড়া শুরু করেছে। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় সকলের অগোচরে বিছানার চাদর রশি বানিয়ে গলায় পেচিয়ে জানালার সাথে ঝুলিয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। ভোর ৫ টার দিকে ফজরের নামাজের সময় অন্য আসামীরা তাকে ওজুর জন্য ডাকতে গিয়ে জানালার পাশে হেলান দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়। ডাকাডাকিতে সাড়া না দেয়ায় অন্যান্য আসামীরা তার গায়ে হাত দিতেই সে জানালার পাশে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তাকে গলায় চাদর পেচানো অবস্থায় অন্যান্য হাজতিরা গেটের দিকে নিয়ে আসে। আমি সাথে সাথেই তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে সে মারা যায়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় নয়া দিগন্তকে জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার কিছ্ক্ষুণ পরেই কামরুল মারা যায়। কী কারণে মারা গেছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্টে বোঝা যাবে। ময়না তদন্তের জন্য কামরুলের লাশ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ২৯ মার্চ রাত ১০ টার দিকে রংপুর মহানগরীর তাজহাট বাবু পাড়ায় এ্যডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে স্ত্রী সিগ্ধা সরকার দীপা ভৌমিক, প্রেমিক কামরুল ইসলামও তার সহযোগি মিলন মোহন্ত। এরপর রথীশের বিছানায় দীপা ও কামরুল রাত কাটায়। পরদিন তারা মাটির নিচে লাশ পুতে রাখে। এ ঘটনায় রথীশের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক একটি হত্যা মামলা করেন।

এদিকে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জঙ্গি, দেবোত্তর সম্পত্বিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাবু সোনা নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা চালায় দীপা ভৌমিক ও প্রেমিক কামরুল ইসলাম। ৫ দিন পর দীপা ভৌমিকে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তার তথ্যের সূত্র ধরে নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়ার একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির দরজা জানালা বিহীন রুমের মাটির নীচে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।  এই মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত এ্যাডভোকোট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা) জাপানি নাগরিক হোসিও কোনি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের প্রধান কৌশুলি ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল