স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
- রংপুর অফিস
- ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫০
রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক দীপা ও পরকিয়া প্রেমিক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এবিএম নিজামুল হক এই আদেশ দিয়ে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর শুনানির পরবর্তি তারিখ ঘোষণা করেন।
রংপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মালেক নয়া দিগন্তকে জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা আসামীদের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন।
পরে আসামী পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাষ্টপক্ষ বসুনিয়া মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামকে আসামীপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেয়।
রোববার নিহত বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দীপা ও তার পরকীয়া প্রেমিক কামরুল ইসলামের উপস্থিতে জেলা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক অভিযোগ গঠন করে মামলাটি বিচারের জন্য পরবর্তি তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে ৮০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতয়ালি থানার এসআই আল-আমিন।
উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাডভোকেট রথীশচন্দ্রকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝেতে পুতে রাখা হয়।
এরপর ৩ এপ্রিল রাতে রথীশচন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দিপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র্যাব। তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে নিজের ও তার পরকীয়া প্রেমিক কামরুলের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে লাশের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেন।
সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে মোল্লপাড়ার নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝে খুড়ে নিহত রথীশচন্দ্রের গলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুন:
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা