২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভাবের তাড়নায় ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা!

প্রতীকি ছবি। - ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে সুইসাইড নোট লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী ছাত্র জাকির হোসেন (২২) আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার ভোরে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউনিয়নের বগেরবাড়ী গ্রামের দরিদ্র কৃষক মোস্তাফিজার রহমান বুদার তৃতীয় সন্তান জাকির হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে রোববার রাতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় জাকির হোসেনের। পরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে সোমবার ভোরে সবার অজান্তে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভেণ্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, জাকির হোসেন মৃত্যুর আগে তার ডায়েরির পাতায় ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন সুসাইড নোট লিখে গেছে। তবে সংসারে অভাব-অনটন তার আত্মহত্যার মূল কারণ।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মমিনুর রহমান বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।

তার অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

আরো পড়ুন: রাজধানীতে ঢাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম আফিয়া সারিকা (২৪)। রোববার বিকালে চৌধুরীপাড়া বি ব্লকের ৩৮৯/বি নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের ধারণা, প্রেম সংক্রান্ত কোনো কারণে সারিকা গলায় ফাঁস দিয়েছে।

আফিয়া সারিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম নুরুল আমিন। তাদের গ্রামের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার ভেজপাড়া গ্রামে। বাবা-মা ও তিন বোন মিলে তারা খিলগাঁওয়ের ওই বাসার পাঁচ তলায় ভাড়া থাকতেন।


বাবা নুরুল আমিন জানান, সারিকা ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিকালে মেয়ে ও তিনি বাসায় ছিলেন। এ সময় পাশের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সারিকা। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খিদমাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

আফিয়া সারিকার বড় বোন সুমাইয়া বলেন, ‘আফিয়া ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়, পরে তা দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’ তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, সে ব্যাপারে কিছুই বলেননি তিনি। তিন বোনের মধ্যে সারিকা সবার ছোট।

 

আরো পড়ুন: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম মোহসীনা হক মেধা (২০)। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল বুধবার ভোরে রাজধানীর পূর্ব নাখালপাড়ার ৩৩৬/বি নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্যাট থেকে পুলিশ মেধার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তার ফেসবুকে কী লেখা ছিল তা পুলিশ জানতে পারেনি। পুলিশ জানার আগেই মেধার বন্ধু হাসান ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভ (অকার্যকর) করে দেয়। পুলিশ ধারণা করছে, মেধার আত্মহত্যার আগে হাসানের সাথে ফেসবুকে মেধার কথোপকথন হয়েছিল। রাতভর এই কথোপকথনের বিষয়টি টের পেয়ে মেধার মা তাকে গালমন্দ করেন। এতেই মেধা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক ছাত্রী নাখালপাড়ার বাসায় আত্মহত্যা করেছেন। আমরা পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আবদুর রশিদ পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মেধা বাসায় মোবাইল ফোনে বেশির ভাগ সময় ফেসবুক দেখতেন। এ নিয়ে মেধার বাবা ও মা প্রায়ই তাকে ফেসবুক দেখা বন্ধ করে পড়াশুনা করতে বলেন। বুধবার রাত ২ টা পর্যন্ত মেধা ফেসবুক দেখেছিলেন। এ সময় তার মা তাকে গালমন্দ করেন। এরপরই মেধা ঘরের বাতি বন্ধ করে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু মেধার মায়ের সন্দেহ হলে ভোর সাড়ে ৪টায় ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো মেধার লাশ ঝুলতে দেখেন।

মেধা আত্মহত্যার আগে তার ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাস দেন। তার পরপরই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ (ডিঅ্যাক্টিভেট) করে দিয়েছিল বলে তার বন্ধু হাসান। হাসান বলেন, বুধবার রাতে সে সুইসাইড করবে বলে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। সকালে শুলনাম, বাসায় ফ্যানের সাথে ঝুলে সে সুইসাইড করেছে। পরে তার ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ডিএ্যাক্টিভ পাওয়া যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে মেধার এক বান্ধবী বলেন, ‘আমি মেধার বাসায় গিয়েছিলাম। ওর আম্মু বলছিলেন, ‘রাত দুটোর সময় এসে দেখি মেধা মোবাইল ফোনে ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করছিল। তখন আমি বকাবকি করি। পরে রাত ৪টার সময় এসে দেখি ওর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। এইটুকু বকাবকিতে অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যা করল ? এ কথা বলে ওর মা বিলাপ করছিলেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই রিয়াজ হোসেন জানান, পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। মেধার বাবা মোজাম্মেল হক নাখালপাড়ার হোসেন আলী স্কুলের শিক্ষক। সকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার বোদ্ধপাড়া গ্রামে নিয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement