২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নীলফামারী-৪

বেবী নাজনীনের বিরুদ্ধে কারা লড়ছেন?

বেবী নাজনীন - ছবি : সংগৃহীত

নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা) এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রায় ১৬ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগেরই ১১ জন, বিএনপির ৩ জন আর জাতীয় পার্টির ২ জন।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী বর্তমানে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন সরকার।

নীলফামারী-৪ আসনের ২০ দলীয় জোট থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। সে সাথে নির্বাচন বা ভোটের কারিগরও তিনি। এ কারণে যে কেউ নির্বাচন করার আগে তাকে হিসাবের মধ্যে রাখেন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করতে না করতেই ১৯৯০ সালে প্রবেশ করেন রাজনীতিতে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রথমবারেই নির্বাচিত হন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পর পর দুই বার পৌর চেয়ারম্যান, দুই বার পৌর মেয়র ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক দিয়েছেন জনগণকে। বিপদে পড়লেই মানুষ প্রথমে স্মরণ করে তাকে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার আমলেই এ আসনে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। যা আজো দৃশ্যমান। সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ এলাকায় শিক্ষা প্রসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজে গড়েছেন এবং কয়েকটিতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন। এমপি থাকা অবস্থায় মোট ২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে।

এসবের মধ্যে সৈয়দপুর ৮টি ও কিশোরগঞ্জের ১৫টি। অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছে প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া প্রায় ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও আসবাবপত্র নির্মাণে ব্যয় করেছেন ১০ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও নি¤œমাধ্যমিক পর্যায় পৌর বৃত্তি চালু করে প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন তিনি। এ কারণে তিনি শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের রূপকার হিসেবে সমধিক পরিচিত।

অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, নির্বাচনের মাঠে আছি এবং থাকবো। যত দিন জনগণ আমাকে পছন্দের তালিকায় রাখবে ভোট করতে থাকব। রাজনীতি করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছি। কিন্তু কখনই অন্যায়ের সাথে আপস করিনি বলেই জনগণ আমাকে বার বার নির্বাচিত করেছে। দলের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই মাঠে থাকতে পারে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি রাজনীতি করি এলাকার উন্নয়নের জন্য দুঃখি মানুষের বন্ধু হওয়ার জন্য। সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জকে আলোকিত করার আমার প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এই প্রার্থীর ব্যাপারে সৈয়দপুরের সাধারণ মানুষের মতামত হলো ইনি পরীক্ষিত ব্যক্তি। ভোটের রাজনীতি খুবই ভালো বোঝেন। তাই জাতীয়বাদী দলের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির আসন উদ্ধার করতে হলে তার বিকল্প আর কেউ নেই। যা প্রতিটি সঙ্কটেই প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানেও তিনি ২০ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

সঙ্গীত জগতে ব্ল্যাক ডায়মন্ড হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন এই আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। সৈয়দপুরে তার আদি নিবাস। নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি এলাকার গরিব দুঃখি মানুষের জন্য কিছু করতে চান। এ কারণে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। 

এই সঙ্গীত শিল্পী বলেন, আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট ও সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্নেহধন্য। তার হাত ধরেই আজকে আমি সঙ্গীত জগতে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। আমিই প্রথম গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ নির্বাচনী এলাকায় সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন টানানোসহ লিফলেট বিতরণ করেছি। দেশনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক সফল তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশেই নীলফামারী-৪ আসনে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা ও কম্বল বিতরণ করেছি এবং সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা সব সময়ই অব্যাহত থাকবে। যেহেতু আমার নাড়ীপোতা সৈয়দপুরে এ কারণে এলাকার উন্নয়নে আমি অংশীদার হতে চাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমি এ আসনে মনোনয়ন পাবোই। এ আশা নিয়েই আমি সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছি। ইতোমধ্যে অল্প সময়েই আমি ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। তাই এ অঞ্চলের মানুষ আমাকে তাদের প্রতিনিধি তথা এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

যদিও বিএনপির একটি অংশ তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তবুও নির্বাচনে একেবারেই নতুন মুখ হওয়ায় প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সাথে নির্বাচনী লড়াইয়ে কতটুকু যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবেন সে বিষয়ে জনমনে কিছুটা সংশয় রয়েছে বলে জনগণের ধারণা। 

বিলকিস ইসলাম বিএনপি থেকে এই আসনের আরো একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। অষ্টম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে তিনি মহিলা এমপি ছিলেন। এমপি থাকা অবস্থায় তিনি কিশোরগঞ্জে নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করেন খালেদা জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সে বছরই সেটি এমপিওভুক্ত হয়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের একমাত্র মহিলা মহাবিদ্যালয় নিজস্ব জমি দান ও ভবন নির্মাণ করাসহ পাঠদান স্বীকৃতি পায় তার আমলে। ২০০৬ সালের দিকে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। প্রকল্পটিকে একনেক বৈঠকে পুনরায় চালু করার বিষয়ে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখ্যযোগ্য।

এ ছাড়া সে সময় তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, অগ্নিকাণ্ডে বিপর্যস্ত মানুষের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়াসহ খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১ হাজার শাড়ি বিতরণ করেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নির্বাচনী এলাকায় মিছিল মিটিংসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ সোনামনী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিভাবক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত জাতীয়তাবাদি শক্তিকে বেগবান করতে আমি এই আসনে মনোনয়ন পেতে চাই। পূর্বেও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আগামীতেও আরো উন্নয়নমূলক কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করি। সে সাথে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দল ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখাসহ নির্বাচনীমুখী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, নির্বাচন তথা ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে। এজন্য বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। 
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ২ জনের একজন বর্তমান এমপি আলহাজ শওকত চৌধুরী। কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনের একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বর্তমানে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগিনা আহসান আদেলুর রহমান আদেল। 

শওকত চৌধুরীর ব্যাপারে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একজন সফল রাজনীতিবিদ তেমনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও। ব্যবসার স্বার্থে ব্যাংকের সাথে লেনদেন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ব্যবসায় চড়াই উতরাই থাকেই। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটু দেরি হতেই পারে। তার মানে এটা দাঁড়ায় না আমি অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। তা ছাড়া আমি নির্বাচিত হওয়ার পর দৃশ্যমান কাজ করেছি যা বিগত ৪৬ বছরেও কেউ করেনি। 

বর্তমান এমপি শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। তারা বলেন, বর্তমান এমপি মহাজোটের এমপি হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এককভাবেই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেন না, নিজের খেয়াল খুশি মতো চলেন। 
এ ব্যাপারে বর্তমান এমপি শওকত চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ কথা বলছে। আমি কখনই দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করি নাই। 

জাতীয় পার্টির অপর প্রার্থী এরশাদের ভাগিনা, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক এমপি কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান ড. আসাদুর রহমান এবং বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মেরিনা রহমান দম্পতির ছেলে আহসান আদেলুর রহমান আদেল। জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উচ্চশিক্ষিত ও দুবাই স্টেট ব্যাংকে কর্মরত এ প্রার্থী একেবারেই নতুন মুখ। তিনি এবারই প্রথম এ আসনে জাপার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চান। তার ভাষ্যমতে মামা এরশাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েই সে এ পথে এগিয়েছেন। সে অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কাজ করছেন মোট ১১ জন। এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোটর শ্রমিক নেতা ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল। এই নেতা বাম ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তার পথ চলা শুরু করেন। তারপর শ্রমিক রাজনীতিতে ঢুকেই ট্রেড ইউনিয়নের নীলফামারী জেলার সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আজ পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল আছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি।

এরশাদ আমলে দুর্ঘটনা মামলায় পরিবহন শ্রমিকদের ৭ বছর ১৪ বছর জেল ও ফাঁসির আন্দোলনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এই নেতা। আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী এরশাদ এই রায় বাতিল করতে বাধ্য হন। আাশির দশকে আওয়ামী রাজনীতিতে যোগদান এবং ২০০৪ সালে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত।

২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনোত্তর সহিংসতার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে উত্তরবঙ্গে সকল সেক্টরের পরিবহন চালু রাখতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। এ ছাড়া মেয়র অবস্থায় পৌর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজও করেছেন তিনি। প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন এই নেতা। বিএনপির আমলে এই নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছিল এবং দেয়া হয়েছিল মিথ্যা মামলা। জোরপূর্বক তাকে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। সে সময় ১২০ দিন জেলে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি বের হয়েছিলেন। গোটা নির্বাচনী এলাকায় ছেয়ে আছে দোয়া প্রার্থী হিসেবে তার বিল বোর্ড। 

তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ে বা সুসময়ে কখনই দলের সাথে বেঈমানি করিনি। প্রতিটি আন্দোলনে মাঠে ময়দানে থেকেছি। আমি মনে করি দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রয়োজন তেমনি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই আসনে সৎ ত্যাগী নেতার প্রয়োজন। বর্তমান এমপি শওকত চৌধুরী এই আসনের উপযুক্ত না। তার মেয়াদকালে তার কার্যক্রমে আমাদের দলের বদমান হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তার দেয়া প্রতিশ্রুতি আমাদের বিব্রত করেছে। বেশির ভাগ লোকেই তার দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতারণায় পড়েছেন। আমরা অবশ্যই এই আসনটির ছাড় দেব না। যদি মহাজোট হয় তাহলে নবম সংসদ নির্বাচনের মতো এটিকে উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করব। সর্বোপরি তিনি বলেন, দল করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এবং তার আদর্শের। অতএব নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্যই কাজ করব।

আওয়ামী লীগের আরো একজন হেবিওয়েট প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন। নির্বাচনী মাঠে এই মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রবেশ চমকদার। কারণ রেলওয়ের চাকরি ছাড়ার এক মাসের মধ্যেই সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শূন্য আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হন তিনি।

তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও চমক লাগানোর মতো। ১৯৭৭ সালে রেলওয়ে শ্রমিক রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তার বাবা শামসুল হকও ছিলেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান শ্রমিক নেতা। ১৯৯০ সালে মোকছেদুল মোমীন নির্বাচিত হন রেলওয়ে শ্রমিকলীগ সৈয়দপুর কারখানা শাখার সম্পাদক। বর্তমানে এই পদেই বহাল আছেন। এরপর ২০০৪ সালে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রেলাঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে তার শ্রমিক রাজনৈতিক জীবন ছিল সমৃদ্ধ।

তার বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালনা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ৮৫ ভাগ শ্রমিক ছিল শ্রমিকলীগের সদস্য। শুধু শ্রমিক রাজনীতিতে না। স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতিতেও তার প্রভাব ছিল যথেষ্ট। এক কথায় দুই অঙ্গনেই ইনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। চাকরিতে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। বর্তমানে পৌর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে তার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

মোকছেদুল মোমীন বলেন, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন। আওয়ামী লীগ মানেই গণমানুষের কথা বলা। আমিও এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। 

ইঞ্জিনিয়ার মো: সিকেন্দার আলী কয়েকবার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন চাচ্ছেন। বাবা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডা: খোরশেদ আলী সরকার আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তদানিন্তন পাক আমলে সৈয়দপুর মিউনিসিপ্যালিটির প্রশাসকও ছিলেন। ১৯৭৩ সালে সংসদ নির্বাচনে তিনি ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইঞ্জিনিয়ার সিকেন্দার আলী রুয়েট ছাত্র সংসদের তিন বার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ১৯৯৪ সালে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত হন। বর্তমানে সৈয়দপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এলাকার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকেন। তা ছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। 

তিনি বলেন, নবম সংসদ নির্বাচনে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবং মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় প্রতিটি ইলোকট্রনিক্স মিডিয়াম আমার নাম প্রচার হয়েছিল। সেই বিবেচনায় নিশ্চয়ই এখনো আমি সেই অবস্থানে আছি মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ডে। তাই আশাবাদী মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে। 

আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম সরকার, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে প্রার্থী হতে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বিপদের দিনে সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ মানুষের পাশে সব সময় তিনি দাঁড়িয়েছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নৌকার পূর্ণ বিজয় ও ভোটারদের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

এ দেশে উন্নয়নের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। 

ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম আগামী নির্বাচনে এই আসনে একজন সৎ, স্বচ্ছ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর মনোনয়ন চান। সেই ধারাবাহিকতায় এই আসনের তিনি একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন। লেখাপড়া শেষে ২০০২ সাল থেকে জনগণের সেবার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করলেও মূলত ২০০৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন আওয়ামী রাজনীতির পথচলার।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় (আহ্বায়ক) কমিটির সদস্য, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রংপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য। বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে কর্মরত। সাহিত্য চর্চা করেন। ইতোমধ্যে একটি কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মরীচিকা’ প্রকাশিত হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এলাকার গরিব দুঃখি মানুষের পাশে থাকেন। প্রায় এলাকায় এসে জনসংযোগও করেন।

ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে বিসিক, উত্তরা ইপিজেডে গ্যাস সরবরাহের জন্য জোর চেষ্টা চালাবো। শিক্ষার মান উন্নয়নে এলাকায় কাজ করব। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য জোর তদবির চালাবো।

এই আসনের আর একজন মনোনয়ন প্রার্থী আমেনা কোহিনুর আলম। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য, সাবেক সহসম্পাদক। ৯০ দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এমএ এবং বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এ্ধসঢ়; পিএইডপি রিসার্চ ফেলো। আমেনা কোহিনুর আলমের বাবা একজন শিক্ষক ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। ’৭৫-পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগের সঙ্কট সময়ে তিনি ১৯৭৭ সালে এলাকায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

আমেনা কোহিনুর বলেন, রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যে জনগণের উপকার করতে পারবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে নিবেদিত থাকবে সেই এগিয়ে যাবে এবং তার মূল্যায়ন হবে। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই। তার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। 

মহসীন আলী রুবেল নীলফামারী-৪ নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, আমি দলের জন্য বহু ত্যাগ তীতিক্ষা স্বীকার করেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। 


তরুণ প্রজন্মের আরেক আওয়ামী প্রার্থী এ এফ এম নাফিউল করিম (নাফা)। আওয়ামী পরিবারের এই মনোনয়ন প্রত্যাশী ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অর্থনীতি) শেষ করেন। ছাত্র অবস্থায় পুরোপুরি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০০৬ সালে জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন ছাত্র দলের ক্যাডাররা একাধিকবার তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও তার রুম ভাঙচুর করে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত। তিনি ২০১১ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য চীন সফর করেন। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী উন্নয়নের মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পিছিয়ে আছে। বর্তমান মহাজোট এমপি উন্নয়ন ধারাকে ব্যাহত করছেন। কর্নেল (অব:) সাকলান এমপি যেভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছিলেন এখন তা আর নেই। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের এমপি না থাকলে উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে বঞ্চিত হবে সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জবাসী। কিশোরগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত কিছু সমস্যা এলাকার উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিচ্ছেন ঠিক সেই সময় কিশোরগঞ্জের এক শ্রেণীর দাদন ব্যবসায়ী সর্বশান্ত করে দিচ্ছে নিরীহ গরিব কৃষকদের। মাদক ও যৌতুক প্রথা অত্র এলাকার সামাজিক পটপরিবর্তনের আরো দু’টি বাঁধা। আমি নির্বাচিত হলে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। কিশোরগঞ্জকে উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত করব।

উপরোক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পাশাপাশি আরো যারা মনোনয়ন প্রত্যাশায় নির্বাচনী এলাকার ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে জানান দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাবুল প্রমুখ। 

এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের সাবেক বা বর্তমান কোনো দলীয় এমপি নেই। কয়েক বার ধরে মনোনয়ন চাচ্ছেন বা প্রথমবারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এমন কয়েকজন রয়েছেন তাদের তালিকায়। একদিকে দলের মধ্যে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী, আবার অন্যদিকে মহাজোট নিয়ে ভাবনা। কারণ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নীতি নির্ধারকেরা মহাজোটকে বাদ দিয়ে ভাবতেই পারছে না। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সকলেই সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নানা ফিরিস্তি নিয়ে নিজ নিজ স্থান থেকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়। বিল বোর্ড বা পোস্টারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও নিজের ছবির পাশাপাশি সমর্থকদেরও ছবি ছাপিয়েছেন। নিজেদের পাশাপাশি সমর্থকদের বিভক্ত করছেন এখন থেকে। এতেই প্রকট হয়ে উঠেছে তাদের মধ্যে কোন্দল। জোট মহাজোটের হিসাব নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে দ্বন্দ্ব থাকলেও বিএনপিতে এ নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। 

মহাজোটগতভাবে নির্বাচন হলে এই আসনে বর্তমান জাতীয় পার্টির এমপি শওকত চৌধুরী মহাজোটের প্রার্থী হতে চাইবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিকে উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি পৃথকভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্নেল (অব:) সাকলান জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপিকে পরাজিত করেন। মহাজোটগত ভাবে প্রার্থিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী এগিয়ে থাকলেও তার ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি তাকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে। আওয়ামী মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তার এই কেলেঙ্কারির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই আসনটি ছাড় না দেয়ার জন্য কেন্দ্রে জোর প্রচেষ্টা চালাবেন। 

আওয়ামী লীগের সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী মনে করেন, বর্তমান মহাজোটের এমপিকে দিয়ে দলের বা সরকারের গৌরব ফিরে আসবে না। মহজোট হলেও তারা এই আসনটি নবম সংসদ নির্বাচনের মতো উন্মুক্ত রাখার পক্ষে।


আরো সংবাদ



premium cement