২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইনজীবি রথিশ চন্দ্র হত্যা মামলার চার্জ গ্রহণ

আইনজীবি রথিশ চন্দ্র হত্যা মামলার চার্জ গ্রহণ - ছবি : সংগৃহীত

রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকার পক্ষে কুশলী জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপা ও পরকীয়া প্রেমিক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী সুশান্ত ভৌমিকের এ্যাড. নির্মল চন্দ্র মাহাতা জানান, রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা আসামীদের উপস্থিতিতে চার্জসিট গ্রহণ করেন । মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর। গত ১৩ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর আদালতে ৮০০ পৃষ্ঠার চার্জ সিট দাখিল করেছিল পুলিশ। এর আগে অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য আদেশ দিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। বুধবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বাবু সোনাকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা করে লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুতে রাখা হয়। ৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দিপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকান্ডে তার পরকীয়া প্রেমিক কামরুলসহ যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে মোল্লপাড়ার ওই বাড়ির মেঝে খুড়ে বাবু সোনার লাশ গলিত উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহতের ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।

আরো পড়ুন :

প্রবাসীর স্ত্রী সন্তান অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী
রফিকুল ইসলাম খান, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা

ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরশহরে প্রকাশ্যে দিবালোকে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের গো-হাটা অটোষ্ট্যান্ড এর ঘটে। এ ঘটনায় ঐ রাতেই অপহৃতার মেয়ে ঝুমা আক্তার বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যশরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সৌদী প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৪০) ও আড়াই বছরের শিশুপুত্র মোহাম্মদ আলীকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের মধ্যবাজারস্থ অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। পরে বাজার করে নিজ বাড়ীতে যাওয়ায় জন্য পুনরায় গো-হাটা অটোষ্ট্যান্ডে যাওয়া পথে রোস্তম আলী গোলন্দাজ উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটে সামনে একটি মাইক্রোবাস গাড়ি তাদের সামনে দাঁড়ায়। পরে গাড়ি থেকে অজ্ঞাত এক পুরুষ ও নারী নেমে তাছলিমা ও তার পুত্রের নাকে রুমাল চেপে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

সন্ধ্যায় তাছলিমা তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে মেয়ে ঝুমা আক্তারকে ফোন করে জানায়, অপহরণকারীরা পুত্রসহ তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে মারধর করছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাদের ছেড়ে দিবে। অন্যথায় তাদের ক্ষতি করা হবে। এ ঘটনায় রাতেই ঝুমা আক্তার বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঝুমা আক্তার বলেন, অপহরণকারীরা মাকে দিয়ে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। কিন্তু তারা কোথায় আছে বা মুিক্তপণের টাকা কিভাবে দিব তা বলছে না।

এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অপহরনকারীদের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement