২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

-

রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানমের হাতে নারী সদস্য ও অপর গ্রুপ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলেন বলে অভিযোগ করেন পারভীন আক্তার। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম।

পারভীন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান তিনি। কথা বলার এক পর্যায়ে ছাফিয়া খানম ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ করেন পারভীন।

ঘটনার পর চেয়ারম্যান অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেও ওই কক্ষেই অবস্থান করেন সদস্য পারভীন আক্তার। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, পারভীন আক্তারের স্বামী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান সোহেলসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পারভীন আক্তার এসব করেন।  ঘটনার সময় উপস্থিত রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, দু’জনেই অশালীন ভাষায় ভাষায় একে অপরকে গালাগাল করেছেন।

জেলা পরিষদের অপর সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, চেয়ারম্যান এর আগেও পরিষদের সদস্যদের সাথে অশালীন আচরণ করেছেন। আমরা সকল সদস্যদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, পারভীন আক্তার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক না। সেখানে কিছুই হয়নি। আমি যথা নিয়মে অফিস থেকে সাড়ে ৫টার দিকে বের হয়ে আসি। আমি আসার পর পারভীন যে অভিযোগ করেছেন তা হয়তো পূর্ব পরিকল্পিত। কাপড় ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনা চলছিল জেলা পরিষদ চত্বরে। উভয়পক্ষই বিপুল পরিমান নেতাকর্মী নিয়ে পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। ঘটনাটি ছিল মঙ্গলবার টক অব দ্যা সিটি।


আরো সংবাদ



premium cement