১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণপরিবহন চলাচল বন্ধে চরম দুর্ভোগে রংপুরের যাত্রীরা

-

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিরাপত্তার অভাবের কথা বলে রংপুর থেকে সকল ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক ও শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে শুক্রবার সকাল থেকে রংপুর থেকে মহাসড়ক, সড়ক, আন্ত:জেলা ও উপজেলার কোন রুটের কোন পরিবহন চলাচল করছে না। কামারপাড়া ঢাকা বাস স্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কুড়িগ্রাম ও সাতমাথা বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দেখা গেছে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল বাস টার্মিনালগুলোতে সারিবদ্ধভাবেক রাখা। আকস্মিক গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। স্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কখন চালু হবে তারও কোন সদুত্তর নেই। কেন বন্ধ তারও কোন উত্তর পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে সকাল ৯টার বাসে ঢাকা যাব বলে বৃহস্পতিবার টিকেট করেছি। স্ট্যান্ডে এসে জানতে পারলাম বাস চলছে না। বন্ধ রাখার কারণও কেউ স্পষ্ট করে বলছে না। শনিবার সকালে লিখিত পরীক্ষা। এখন কিভাবে যাবো ভেবে পাচ্ছি না।

কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাত্রী আব্দুল হক জানালেন, অসুস্থ মাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ায় গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসে দেখি বাস বন্ধ। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। এভাবে কোন ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ করার বিষয়টি খুবই খারাপ।

তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ব্যপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসন, গণপরিবহন মালিক, চালক ও শ্রমিক নেতারা।

এস আর ট্রাভেলস বাসের চালক খাদেমুল  ইসলাম জানান, একটি বাসের মূল্য কয়েক লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রংপুর আসার পথে রাস্তায় বাস আটকিয়ে আমাদের লাঞ্ছিত করেছে আন্দোলনকারীরা। বগুড়ায় বাসে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করেছিল। অনুরোধ করে রক্ষা পেয়েছি। পথে নিরাপত্তা নাই। যে কারণে বাস চালাচ্ছি না।

আগমনী এক্সপ্রেসের চালক শহিদ মিয়া জানান, কেউ বাস চালাচ্ছে না বলে আমরাও চালাচ্ছি না। স্ট্যান্ডে আড্ডা মারছি।

এস আর ট্রাভেলসের রংপুর কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মাজেদুর রহমান রিপন বলেন,  বাস মালিকদের হলেও পথে বাসটির দায়িত্ব চালকের। নিরাপত্তার অভাবে তারা বাস চালাচ্ছে না। ফলে রংপুর থেকে আমাদের কোনো বাস চলছে না।

রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আমিও জানিনা কাদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আবু আজগর আহমেদ পিন্টু বলেন, বাস বন্ধের ব্যাপারে আমাদের সমিতির সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। তবে আমার যেটা ধারণা নিরাপত্তাজনিত কারণেই হয়তো চালকরা বাস চালাচ্ছেন না।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ(দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোখতারুল ইসলাম জানান, বাস মালিক, শ্রমিক, চালকরা কেন বাস বন্ধ রেখেছেন সে বিষয়টি জানি না। তবে বাস না চলায় স্ট্যান্ডগুলোতে অনেক যাত্রী অবস্থান করছেন। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ দিয়ে এখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্বা নিশ্চিত করছি।


আরো সংবাদ



premium cement