২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলবাড়ীতে শিক্ষিকা নিয়োগের ভূয়া তথ্য প্রেরনের অভিযোগ

-

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মাদারের পাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে দুইজন ভুয়া শিক্ষিকা নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনলাইনে তথ্য প্রেরনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে সাবেক ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রেজিঃ বেসরকারী বিদ্যালয় থাকাকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্রনাথ জালিয়াতীর মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ে গোপনে দুইজন সহকারী শিক্ষিকা নিয়োগ দেন। ভুয়া ওই দুই শিক্ষিকা হলেন মোছা: শিউলী খাতুন ও তৃপ্তি রায়। পরবর্তীতে বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার সময়ও কৌশলে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে ই-প্রাথমিক সিস্টেমে ওই দুই ভুয়া শিক্ষিকার তথ্য প্রেরণ করেন। ওই দুই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে পাঠদান না করলেও কাগজে কলমে তাদেরকে বহাল দেখান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এমনকি জাতীয়করনের পরে আরেফা বেগম নামের একজন সহকারী শিক্ষিকা অন্য বিদ্যালয় থেকে বদলী হয়ে ওই বিদ্যালয়ে আসলেও ই-প্রাথমিক সিস্টেমে তার কোন তথ্য প্রেরণ করেননি তিনি। সম্প্রতি পদন্নোতির মাধ্যমে মাহমুদা খাতুন ওই বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য হালনাগাত করতে গেলে জানতে পারেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ই-প্রাথমিক সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমেই ভুয়া দুই শিক্ষিকার তথ্য অনলাইনে আপলোড করেছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ফলে ওই প্রতিষ্টানের ই-সিস্টেমে বৈধ্য দুই শিক্ষিকার তথ্য অনলাইনে গ্রহণ করছে না। কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম ও সহকারী শিক্ষিকা আরেফা বেগম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলার শিক্ষক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র নাথের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম জানান, আমরা চাকুরী ঠিকই,কিন্তু হেড অফিস কিং বা স্থানীয় অফিসে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য নেই। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার অধিকারী জানান,ঘটনাটি শুনেছি,অভিযুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের জুলাই/১৮ মাসের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement