২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দিনাজপুরে ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের নামে প্রতারণা

-

দিনাজপুরের বিরামপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্প কর্মসূচির নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে বিরামপুর থানায় দুই এনজিও কর্মকর্তা আল-আমিন ও মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত আল-আমিনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ‘জমি আছে ঘর নাই’ কর্মসূচি সরকারীভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই, এমন ব্যক্তিদের ইউপি চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়রের মাধ্যমে বাছাই করে সরকারী ভাবে তালিকা প্রনয়ন করে তাদের নামে ঘর নির্মানের জন্য সরকারী ভাবে এক লাখ টাকা করে বরাদ্ধ হয়ে থাকে। কিন্তু ঢাকাস্থ গোল্ডেন ইনভারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (জিইডিএফ) জয়পুরহাট আঞ্চলিক অফিসের কয়েক ব্যক্তি নিজেদের বিরামপুর উপজেলা সমন্বয়কারী হিসাবে পরিচয় দিয়ে উপজেলার ২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের নিকট গিয়ে বলে, তারা অতিদরিদ্র বা ৮/১০ শতক জমি আছে কিন্তু ঘর নেই, এমন ৩/৪শ’ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করে ঘর নির্মানের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ এনে দিবে। এজন্য ফরম বাবদ ৩’শ টাকা এবং টাকা বরাদ্দ বাবদ ১০ হাজার হারে ঘুষ দাবি করেন।

একইভাবে তারা মুকুন্দপুর, বিনাইল ও জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকটও একই প্রস্তাব দেন। এনজিও কর্মকর্তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন এবং সোমবার বিরামপুর থানায় বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার মানিক কাজী গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র আল-আমিন (২৫) এবং ফুলবাড়ি থানার ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান (২৪)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ চন্দ্র সরকার পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়ি থেকে ১নং আসামী আল-আমিনকে গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে জিইডিএফ সংস্থার জয়পুরহাট আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক শাহাদত হোসেন বলেন, তাদের সংস্থা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকা- পরিচালনা করে থাকে। ঘরবাড়ি তৈরী বা অর্থ বরাদ্দ এনে দেওয়ার কর্মসূচি তাদের নেই। মামলার আসামীরা সংস্থার কর্মী হলেও এর জন্য সংস্থা দায়ী নয় বলে জানান তিনি।

কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, প্রতারকদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে আমি ইউএনও সাহেবের সাথে এবিষয়ে কথা বলি এবং পরবর্তীতে নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।


আরো সংবাদ



premium cement