২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অভিনব কায়দায় দম্পতির হজে যাওয়ার টাকা ছিনতাই

অভিনব কায়দায় দম্পতির হজে যাওয়ার টাকা ছিনতাই - ছবি : সংগৃহীত

হজে যাওয়ার আট লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বের হওয়া মাত্রই ছিনতাই হয়ে গেল এক দম্পতির। রোববার দুপুরে রংপুর মহানগরীর পায়রা চত্বরে অবস্থিত আল-আরাফ্হা ইসলামী ব্যাংকের গেটের সামনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

নবাবগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানায়, নগরীর সাতগাড়া মাস্টার পাড়া এলাকার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী ও স্ত্রী লাভলী বেগম হজে যাওয়ার জন্য আল আরাফাহ ব্যাংকের ওই শাখা থেকে আট লাখ টাকা উত্তোলন করে ব্যাংক থেকে বের হয়ে ব্যাগ মোটরসাইকেলে রাখেন। এ সময় মোটরসাইকেলের পাশে মাটিতে বেশ কিছু বিভিন্ন ধরনের টাকার নোট পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারা একটু অমনোযোগী হতেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল থেকে টাকার ব্যগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ছিনতাইকারীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে টার্গেট নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা কৌশল হিসেবে আগেই রাস্তায় টাকা ফেলে রেখেছিল। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ছিনতাইয়ের শিকার মহসিন আলী জানান, আগামী ১৪ জুলাই আমাদের হজের ফ্লাইট। আমরা হজে যাওয়া ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ের খরচাদি মেটানোর জন্য ব্যাংকে এসে টাকা তুলে নিচে নামতেই ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল। পাশেই এসপি অফিস ও রংপুর মহানগরীর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা খুবই আশ্চর্যজনক। তিনি তাদের হজ্ব যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার এবং টাকা উদ্ধারের দাবি জানান।

ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২৭ মে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ওই শাখার ভেতরে টাকা জমা দিতে এসে আরবি ট্রেডার্সের মালিক শফি মিয়ার (৬৩) এক লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। ওই ছিনতাইকারীকে জমাদানকারী ব্যাংকের স্টাফ মনে করেছিলেন। ওই ঘটনায় টাকা চুরির ব্যাপারে মামলা করতে গেলেও কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ ।

এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপাক মোঃ ইব্রার বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ আনুষাঙ্গিক নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনার কারণে আমরা একটি জিডি করেছিলাম।

আরো পড়ুন :
রংপুরে ডাকাতির সময় ২ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
রংপুর অফিস
রংপুরের পালিচড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ডাকাতিকালে দু'জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ওই দুইজন আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই মো: দুলাল জানান, গ্রেফতার ডাকারতা হলো রংপুর মহানগরীর ৭ নং ওয়ার্ডের কার্তিক মধ্যপাড়া সাবের আলীর পুত্র সেন্টু মিয়া (২৫) এবং বদরগঞ্জের কাজীপাড়ার আব্দুল জব্বারের পুত্র বাবলু মিয়া(৪৭)। বাবলু নগরীর স্টেশন মন্ডলপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, সদরের পালিচড়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী বিপুল, বাবলু, আকতার ও মনছের আলী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রংপুর মহানগরীর থেকে আম বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ভুরারঘাট-পালিচড়া সড়কের ছোট ব্রিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত তাদের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির চেষ্টা করতে থাকে। এসময় ব্যবসায়ীদের চিত্কারে আশপাশের শত শত লোক ছুটে আসতে থাকলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দিয়ে ওই দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য পাঠায়।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে সদ্য পুস্করিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, পালিচড়ার সন্তোষ ও আলমগীর নামে দুই ব্যক্তির সহায়তায় এ ডাকাতির চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই ডাকাত স্বীকার করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement