২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিঠাপুকুরে আ’লীগ নেতার বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাত নিয়ে তোলপাড়

-

রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নে এক বিধবাকে সরকার প্রদত্ব ২৫ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনায় ইউএনওকে ভূক্তভোগী নারী অভিযোগ দেয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধায় সালিশী বৈঠকে ১৩ হাজার টাকা ফেরত দেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। বাকী টাকা আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া ভুক্তভোগী উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের শালাইপুর গ্রামের ছালেহা বেওয়ার লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ছালেহা বেওয়াকে কয়েক মাস আগে বিধবা ভাতা দেয়ার নাম করে ২ হাজার টাকা নেন ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একই এলাকার আব্দুল লতিবের পুত্র মুকুল মিয়া।

 

গত ৩ জুন মুকুল মিয়া ছালেহা বেওয়াকে বিধবা ভাতার বইসহ টাকা দেয়ার কথা বলে বৈরাগীগঞ্জে অবস্থিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পায়রাবন্দ শাখায় নিয়ে যান। সেখানে টিপসই নেয়ার পর মুকুল মিয়া ছালেহা বেওয়াকে ৫ হাজার টাকা এবং বিধবা ভাতার বই দিয়ে বাড়িতে যেতে বলে।

পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছালেহা বেওয়া জানতে পারেন তার নামে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ।

বিষয়টি তিনি আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মিয়াকে জানিয়ে বাকী ২০ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করলে মুকুল মিয়া তাকে বাকী টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে গত ১৪ জুন বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঘটনা জানিয়ে লিখিত আবেদন করেন বেওয়া। ইউএনও লিখিত অভিযোগ গ্রহন করে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজাকি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

 

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আব্দুল বাতেনের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতার জন্য চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে মুকুল মিয়া কৌশলে ছালেহা বেওয়ার জামাই জোবেদ আলী সমঝোতার জন্য রাজি করান।

এক পর্যায়ে মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর শালাইপুর ডোবারপাড়া মোড়ে এই বিষয়ে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে মুকুল মিয়া তাত্ক্ষনিক বিধবা ছালেহা বেওয়াকে ১৩ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং বাকী ৭ হাজার ৫০০ টাকা আগামী ২ জুলাই দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। এসময় তিনি ছালেহা বেওয়ার কাছে ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুকুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বাকি টাকা ২ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেবেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement