তাল গাছের মতো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে সড়কবিহীন ব্রিজটি
- বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
- ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:২৯
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কালিকাপুর মাঠের মাঝে নির্মিত ব্রিজটি তাল গাছের মতই এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। তবুও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ২১ লাখ টাকার ২৬ ফুট দৈর্ঘের এই অকেজো ব্রিজটির কোন সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। উল্টো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশে-পাশের তিন গ্রামের সাধারণ মানুষের। ব্রিজটির দু’পাশে রাস্তার নামমাত্র অস্তিত্ব দেখা গেলেও পর্যাপ্ত মাটি ভরাটের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় উপজেলার জামগনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চাপাপুকুর, কৈচরপাড়া গ্রামের মাঠে ধান, গম, মসুর, সরিষাসহ নানান ফসলের আবাদ হয়। সেসব ফসল মাঠ থেকে কৃষকরা ভ্যান, পাওয়ার ট্রিলার এবং মহিষের গাড়িতে করে সমতলের ওই রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতো। এরপর গত দু’বছর পূর্বে হঠাতই মাঠের মাঝে ওই রাস্তায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। এর ফলে সমতলের রাস্তাটিও এখন আর ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা। ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক ও রাস্তায় মাটি কেটে উঁচু না করায় ব্রিজের পাশ দিয়ে অন্যের জমি দিয়ে কৃষিপণ্য আনা-নেয়া করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগরোধে দ্রুত মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এসব এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মাঝখানে ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজের গোড়ায় কিছুটা মাটি ভরাট করা হলেও বাঁকি রাস্তায় কোন মাটি দেয়া হয়নি। ফলে সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট করায় ব্রিজটি তাল গাছের মতই এক পায়ে দঁড়িয়ে থাকায় ব্রিজটি কোন কাজেই আসছে না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর-চাপাপুকুর সংযোগ রাস্তায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ওই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। গ্রামীণ রাস্তায় সেতু প্রকল্পের আওতায় পিআইও দফতরের অধীনে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটি দুই বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, তিনি সিংড়া উপজেলায় কর্মরত এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আগের কর্মকর্তার সময়ে ত্রাণের এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা