২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শীতে কাঁপছে কাজিপুরের যমুনার চরাঞ্চলের মানুষ

-

হীমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে কাঁপছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের ইছামতি-যমুনার চরাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষরা। বন্যা-নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত এসব মানুষ শীতবস্ত্র ও কাজকর্মের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইছামতি-যমুনা নদী বেষ্টিত এ উপজেলার লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। যার অধিকাংশ মানুষ চরাঞ্চলে বসবাস করেন। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করেন। যমুনা পাড়ের ১০ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক ও ইছামতি পাড়ের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চরম কষ্টে রয়েছে। কৃষিকাজ ও দিনমজুরী তাদের একমাত্র ভারসা।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে যমুনার পাড়ের মাইজবাড়ী, কাজিপুর, শুভগাছা ও নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আসহায় মানুষগুলোর করুণ অবস্থা। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতের কাপড় না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। শীতের কারণে কাজকর্ম নেই, তাই থাকতে হয় অনাহারে-অর্ধাহারে। মাইজবাড়ী গ্রামের মজিবর রহমান (৬৫), ফলপড়ি (৫০), শুভগাছা এলাকার আবুল হোসেন (৪৫), নূরুল ইসলাম (৫২), দুলাল সরকার সহ (৫০) এমন অবস্থা নদী ভাঙনের শিকার অসংখ্য অসহায় মানুষের।

চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক মিন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙন ও বন্যাকবলিত অসহায়-দরিদ্র। সরকার থেকে সামান্য কিছু কম্বল পেয়েছি। তা দিয়ে সবার চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কাজিপুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিকী নয়া দিগন্তকে বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য সাত হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। উপর মহলে আরো চাহিদা দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement