১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিংড়ায় ধান সংগ্রহে কৃষক নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ বিক্ষোভ

-

কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড আটকে রাখায় দীর্ঘদিন ধরে সকল কৃষি সহায়তা বঞ্চিত হয়েছেন নাটোরের সিংড়ার অর্ধশতাধিক কৃষক। উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্যা মোছা: মাঞ্জুয়ারা বেগম ওরফে মুঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। তিনি ওই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড নিজ বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন।

বুধবার চলনবিলের কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন কৃষকরা। পরে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমের সামনের রাস্তায় প্রায় দুই শতাধিক কৃষক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সিংড়া উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে সুকাশ ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহের জন্য লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন শুরু করে উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি। হঠাৎ দুপুর ২টায় কৃষক নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অডিটোরিয়াম হলরুমের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন সুকাশ ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক কৃষক। এসময় মেম্বারের বাড়িতে কৃষি সহায়তা কার্ড আটকে রেখে কৃষি সহায়তা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অনেক কৃষক অভিযোগ করেন।

ধুরসন গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেন, সকল কৃষকদের না জানিয়েই আজকের এই কৃষক নির্বাচন করা হচ্ছে।

আগমুরসন গ্রামের কৃষক আবু বক্কর অভিযোগ করেন, তিনি সকালে লোকমুখে শুনে এখানে এসেছেন। দেরীতে আসায় তাকে রেজিস্ট্রেশন করতে দেয়া হয়নি। সিংড়ায় আসা-যাওয়া খচরসহ সারাদিন তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বনকুড়াইল গ্রামের রাব্বানী আকন্দ ও মমিন আলী বলেন, আজকে তাদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড হাতে পেয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে তাদের কার্ড সাবেক ইউপি সদস্যা মোছা: মাঞ্জুয়ারা বেগম ওরফে মুঞ্জু বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন। তারা সকল সরকারি কৃষি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুর রহমান বলেন, তার জানা মতে, ধান সংগ্রহের বিষয়ে মাইকিং বনকুড়ি গ্রামে করা হয়নি।

এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্যা মোছা: মাঞ্জুয়ারা বেগম ওরফে মুঞ্জুর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন ফোনে বলেন, আম্মা বাসায় নেই। আর মাত্র ১০ থেকে ১২টি কার্ড ছিল সেগুলো সকালে কৃষকরা নিয়ে গেছে। ১০ বছর ধরে কৃষি কার্ড তাদের বাসায় কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো আর কার্ড বিতরণ করা সম্ভব নয়।

এবিষয়ে সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আজকের কৃষক নির্বাচনের বিষয়টি আমার জানা মতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে। আর কোনো কৃষকের কার্ড যদি কোনো মেম্বারের বাড়িতে থাকে সে দায় ভার ওই মেম্বারকেই নিতে হবে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সালাউদ্দিন বলেন, তার জানামতে মাইকিং করা হয়েছে। আর কোন সাবেক মেম্বার কার্ড আটকিয়ে রেখেছে এটা তার জানা নেই।

এবিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, তিনি কৃষকদের অভিযোগ শুনেছেন। আগামী মিটিংয়ে এবিষয়ে উপস্থাপন করবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, তিনি জেলার মিটিংয়ে রয়েছেন। ফিরে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে টেস্ট খেলতে চান রোহিত অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামের বাসভবনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ইউক্রেনের ২০টি ড্রোন, ২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্কিৃয় করল রাশিয়া তালেবানকে আফগান মাটি অন্যদের ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের। গত দুই দিনের রেকর্ডের পর চুয়াডাঙ্গায় আজও বইছে তীব্র তাপদাহ বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল ভারতের নির্দেশের পর পোস্ট ব্লক করল এক্স ‘দেশের কল্যাণে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার বিকল্প নেই’

সকল