১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

সমাজ পরিবর্তনে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

-

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, রাসূল (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছিলেন। তার অন্যন্য সাধারণ চরিত্র মাধুর্য্য সম্পর্কে সুরা কলমের ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী’। সুরা আম্বিয়ার ১০৭নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি।’

মূলত আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথ ও রাসূল (সা.) এর অনুসৃত আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই সমাজ-রাষ্ট্রে অশান্তি ও অবক্ষয়ের জয়জয়কার চলছে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব ও রাসূল (সা.) এর প্রদর্শিত আদর্শকে সর্বান্তকরণে গ্রহণ করতে হবে। তিনি বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ অনুসরণে সমাজ পরিবর্তনে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

আজ বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত সীরাতুন্নবী (সা.) বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, আধ্যাপক আব্দুল করিম ও নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বেই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উৎকর্ষতা এসেছে। মানুষের জীবনাচারণ, বোধ-বিশ্শবা, রুচিবোধ, কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, মানুষের বহিরাভরণ জৌলুসপূর্ণ ও দৃষ্টিনন্দন হলেও বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তির প্রত্যাশা বরাবরই অধরায় থেকে গেছে। মূলত ইসলামী আদর্শের বিচ্যুতিই এই অশান্তি ও অবক্ষয়ের মূল কারণ। মানব রচিত মতবাদের কারণেই গোটা বিশ্বই এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। রাসূল (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদা অহীর বিধান অনুসরণের মাধ্যমে প্রায় অর্ধেক পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকদের মধ্যে যারা আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণে শাসনকার্য পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন তারাও সমাজ, রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি, প্রগতি, উন্নয়ন, অগ্রগতি সর্বোপরি ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছিলেন। দার্শনিক জর্জ বার্ণাডশ এর ভাষায়, ‘আমার বিশ্বাস নবী মুহাম্মদের মত কোন ব্যক্তি যদি বর্তমান বিশ্বের একনায়কের পদে আসীন হতেন, তাহলে তিনিই বর্তমান বিশ্বের সমস্যাবলীর এমন সমাধান দিতে পারতেন, যার ফলে সমস্ত বিশ্বে কাঙ্খিত শান্তি ও সুখ নেমে আসত।’ মূলত মানব রচিত মতবাদের মাধ্যমে কোন ভাবেই বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান বিশ্বেকে শান্তির নীড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অহীর বিধান অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 


আরো সংবাদ



premium cement