ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চাচা গ্রেফতার, শিশু ধর্ষণ করেছে জেএসসি পরীক্ষার্থী!

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বোরহান উদ্দিন শ্যামল (১৪) নামের জেএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চার বছর বয়সি এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শ্যামল ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। অপরদিকে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তার চাচাকে গ্রেফতার করেছে।

ধুনট থানা সূত্রে জানা যায়, গোসাইবাড়ী এ এ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন শ্যামল চলমান জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা না থাকায় বানিয়াজান গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিল। ওই সময় শ্যামলের মা প্রয়োজনীয় কাজে গোসাইবাড়ী বাজারে যায়। সকাল সাড়ে ১০টায় বাড়ির সামনে জলপাই গাছের নীচে প্রতিবেশির এক কন্যা শিশু খেলা করছিল। এ সময় শ্যামল ওই শিশুকে কার্টুন দেখার কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। পরে ওই শিশুকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশু আহত অবস্থায় কান্না করতে করতে বাড়ি ফিরে মায়ের নিকট ঘটনাটি প্রকাশ করে। এরপর পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্যামল পলাতক রয়েছে।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, শিশুটিকে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শ্যামলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অপরদিকে চার বছর বয়সের ভাতিজিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক শিশুর চাচাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চাচার যৌন নিপীড়নে অসুস্থ শিশুটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৭ দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সোমবার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় শেরপুর শহরের ধুনট মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটি উপজেলার মোহাম্মাদপুর গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে। একই বাড়িতে বসবাস করে আব্দুর রাজ্জাক ও শিশুটির হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন। তিন সন্তানের জনক আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে শিশুটির চাচা।

গত ৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে ঘরের ভেতর শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে রাজ্জাক। শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অসুস্থ অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে।
শিশুটিকে রাত ১২টায় ধুনট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই শিশুটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, এ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।