২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নিঃস্ব হয়ে বাড়িঘর ছাড়া

সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২ নারীর সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে দুই অসহায় নারী - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়ার সোনাতলা পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের এক দাদন ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই অসহায় নারী। তারা হলেন, পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামের মৃত আতাউর রহমান মেয়ে মোসা: নূর আকতার বানু ও একই গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে মোসা: সাহানা খাতুন।

সোনাতলা অস্থায়ী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই নারী উল্লেখ করেন, গত চার বছর আগে সমস্যায় পড়ে সোনাতলা উপজেলার পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের বাবু পোদ্দারের মেয়ে বাবলির কাছ থেকে নূর আকতার বানু ৫০ হাজার ও সাহানা খাতুন ৫০ হাজার টাকা দাদন হিসেবে নেন। চার বছর যাবত ২০ টাকা হারে তারা নিয়মিত সুদ দিয়ে আসছিলেন। প্রথম দিকে কোনো স্ট্যাম্পে বিষয়টি লেখা না থাকলেও ২০১৭ সালে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন বাবলি ও তার ভাই শাহীন। এ যাবত সুদসহ ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে তারা (সাহানা খাতুন) ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন।

অন্যদিকে ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে (নূর আকতার বানু) ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা সুদ-আসলসহ দেন। তারপরও নানাভাবে বাবলি ও তার ভাই শাহিন তাদেরকে হয়রানী করতে থাকেন। হয়রানীর বিরুদ্ধে তারা দু’জন সোনাতলা থানায় অভিযোগ করলে বাবলি ও শাহীন আরেকটি অভিযোগ করেন। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ শাহিনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের থানায় ডেকে নেয়। সেখানে সাহানা ও তার বাবা সোনামিয়াকে হাজতে পাঠায় থানা পুলিশ।

থানায় স্ট্যাম্পে সাহানার নামে ৩ লাখ টাকা নেয়া আছে মর্মে ও নূর আকতার বানু নামে ৪০ হাজার টাকা নেয়া আছে মর্মে স্বাক্ষর নেন। এছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের গত প্রায় আট মাস আগে বগুড়া এসপি অফিসে ডেকে নিয়ে আপস-মীমাংসার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। বর্তমানে সুদের টাকার ঘটনায় আমরা নিঃস্ব ও বাড়ি ছাড়া। আমরা চাতালে দিনমজুরের কাজ করে দিনাতিপাত করছি।

এমতাবস্থায় শাহিনের লোকজন প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের উপর ও আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে থাকে। তাদের ভয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারি না। যেকোনো সময় তারা আমাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। গত ২ নভেম্বরেও আমাদেরকে মারপিট করেছে।

এ ব্যাপারে সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা নেননি। এহেন অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি আমলে নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী শাহিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও এ অঞ্চলকে দাদনমুক্ত করতে আমরা প্রশসানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement