২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্যালিকাকে ধর্ষনের পর হত্যা, দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন

নাটোরে শ্যালিকা হত্যায় দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন - নয়া দিগন্ত

নাটোরে শালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে সোহাগ হোসেন (২৬) নামে এক তরুণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাইনুল হক এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডিত সোহাগ হোসেন নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা জোলার পাড় এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিকেলে নাটোরের বনবেলঘরিয়া এলাকার মমিন হোসেনের মেয়ে মৌমিতা আক্তার (১০) তার বোন মৌসুমির বাড়িতে যায়। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত মৌমিতা তার বড় বোনের বাড়ী না পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন কৃষক কলাবাগানে কাজ শেষে ফেরার পথে স্থানীয় একটি পাট ক্ষেতে কলার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা একজন মানুষের পা দেখতে পায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে নিহত মৌমিতার বাবা মমিন হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মৌমিতার দুলাভাই সোহাগ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সোহাগ তার শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে এলে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মাইনুল হক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

ট্রাইবুন্যালের সরকারি কৌঁসুলি শাহজাহান কবীর দন্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ কারাগারে আটক ছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজার পরোয়ানা শুনিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত মৌমিতার বাবা মমিন হোসেন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement