২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেশা করতে বাধা দেয়ায় শিক্ষককে মারধর ছাত্রের

আহত শিক্ষক আইয়ুব আলী - ছবি : নয়া দিগন্ত

নেশা করতে বাধা দেয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনসমক্ষে রঘুনিলী মঙ্গলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক আইয়ুব আলীকে (২৮) মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হোসেন ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার সকালে পৃথক দুটি স্থানে এ হামলার শিকার হন তিনি।

ছাব্বির উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বিপাচান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা অর্ধ-বার্ষিক ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষায় অংশ নেন।

শিক্ষক আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হোসেন কখনো শ্রেণিকক্ষে বসে আবার কখনো বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে ড্যান্ডি নেশা করে। তার সহপাঠি শ্রী শিবনাথের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার তাকে বিদ্যালয়ে ডেকে শাসন করার সময় সে তর্কে জড়িয়ে পড়লে একটা থাপ্পর মারা হয়। এ কারণে সাব্বির হোসেন, তার ভাই রাব্বি, চাচা আলাউদ্দিন এবং রাব্বির বন্ধু কামরুল ইসলাম তাকে আজ মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় উলিপুর বিপাচান ব্রিজ এলাকায় পথ আটকে কিল-ঘুষি মারে। শুধু তাই নয়, তাকে মারধর করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা (ছাব্বির গং) আবারো বেলা সাড়ে ১১ দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সামনেই তাকে স্টিলের স্কেল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

শিক্ষার্থী শিবনাথ, আছিফ হোসেন, রাজু ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন, রাবেয়া খাতুন, মরিয়ম খাতুন প্রমুখ বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে ছাব্বির ও তার স্বজনরা তাদের গণিত বিভাগের বিএসসি শিক্ষককে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের প্রতিবাদের মুখে পালিয়ে যায়।

তাড়াশ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রঘুনিলী মঙ্গলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবি উজ্জামান নান্নু বলেন, তিনি লাইব্রেরিতে বসে ছিলেন। বাইরে বিশৃঙ্খলার বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ খবর দেন।

তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন বলেন, একজন শিক্ষকে মারধর করা অনভিপ্রেত। নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement