২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভ্যাপসা গরমে সর্বত্র হাঁসফাঁস

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জ্যৈষ্ঠের শুরতেই সকাল-সন্ধ্যা রোদের প্রখর তেজ। অসহনীয় ভ্যাপসা গরম। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই হাঁসফাঁস। বাতাসে আগুনের হল্কা। বাড়িঘরে ফ্যানের বাতাসও তপ্ত। মানুষ ঘেমে-নেয়ে একাকার। জনজীবনে কাহিল অবস্থা। চারদিকে মানুষ ছাড়াও প্রাণিকূল ছটফট করছে।

তীর্যক সূর্যের দহনে দিনমান অতিবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও এখন বেশ উঁচুতে। এতে করে গরম তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে বেশিহারে ঘামাচ্ছে মানুষজন। ঘামে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় গরমে ঘামে নাকাল অবস্থায় শিক্ষার্থী, পথচারী লোকজন রাস্তাঘাটে ফেরি করা আইসক্রিম, লেবুর শরবত ও হরেক রকম পানীয় নিয়ে একটু গলা ভেজানোর চেষ্টা করছে। যদিও এসব খোলা পানীয় বিভিন্ন রোগের বাহন হতে পারে।

চপল কিশোররা দল বেঁধে নদী-খালে, পুকুর-দীঘিতে ঝাঁপ দিয়ে গা শীতল করছে। গরমে যখন মানুষের পানির চাহিদা বেড়ে গেছে, তখন প্রায় সর্বত্র পানির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর-অগভীর অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট বেড়ে গেছে। অসহনীয় ঘাম ও ভ্যাপসা গরমের কারণে ডিহাইড্রেশনে শরীর দ্রুতই কাহিল হয়ে পড়ছে।

এ অবস্থায় আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দিনে এনে দিনে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্নআয়ের শ্রমিক-কর্মজীবীরা। উটকো মৌসুমে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকেই। চিকিসৎকরা এ সময়ে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়ে কড়া সতর্ক করেছেন, রাস্তাঘাটের দূষিত পানীয় বা ফল-ফলারি খেয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement