প্রমাণিত হলো ধর্ষক শাকিবই জৈবিক বাবা
- পাবনা সংবাদদাতা
- ১১ মে ২০১৯, ০৭:৪৬
পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ঘরনাগড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোয়াজ্জেম হোসেন চুনুর ধর্ষিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যার গর্ভজাত সন্তানের ফরেনসিক (ডিএনএ) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তানিয়ার গর্ভজাত সন্তানের জৈবিক বাবা ধর্ষক শাকিব।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ ও ১৩ জুন একই গ্রামের পাশের বাড়ির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আশরাফ আলীর ছেলে শাকিব ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে তাকেসহ তার বাবা-মাকে হত্যা করা হবে বলে শাকিব ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এরপর কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে এ ঘটনা জানাজানি হয়। ওই সময় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কিশোরীর ছয় মাসের গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনের পাবনা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ওই কিশোরীসহ তার বাবা-মায়ের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। কিশোরীর মা মনোয়ারা খাতুন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় গত বছরের ১ জুলাই ধর্ষক শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পাবনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে কিশোরী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা সদর থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস পাবনা জেলা কারাগারে আটক শাকিব এবং ভিকটিম ও তার সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকার মালিবাগ সিআইডির সদর দফতরে ক্রিমিনাল ফরেনসিক তদন্ত সম্পন্ন করার পর গত ৩১ মার্চ ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ফরেনসিক ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, শাকিব ওই কিশোরীর গর্ভজাত সন্তানের জৈবিক বাবা।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা সদর থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস জানিয়েছেন, নিয়মানুযায়ী পিপি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এ মামলায় শাকিবের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা