২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

পিকনিকের খাবার খেয়ে ডায়রিয়া : বাবা-ছেলের করুণ মৃত্যু

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নিহত বাবা অরুন কুমার কুণ্ডু ও ছেলে চন্দন কুমার কুণ্ডু। পাশে স্বজনদের আহাজারি - নয়া দিগন্ত

তাপদাহ ও প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চার ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের করুণ মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে পিকনিকের খাবার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের খুদ ও ভুসি মালের ব্যবসায়ী অরুন কুমার কুণ্ডু(৬৫) এবং তার ছেলে চন্দন কুমার কুণ্ডু(২৫)।

মহাদেবপুর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, রোববার ভ্যাপসা গরসের মধ্যে সন্ধ্যারাতে পিতা অরুন চন্দ্র কুণ্ডু ও তার ছেলে চন্দন কুমার কুণ্ডু উপজেলা সদরের শিবগঞ্জ মোড়স্থ নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিকনিকের আয়োজন করে। পরে আয়োজিত বনভোজনে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।

বাড়ি যাওয়ার পর বাবা-ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পাতলা পায়খানা ও বমি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় প্রতিবেশী লোকজন তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিতা অরুন চন্দ্র কুণ্ডু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়।

অপরদিকে ছেলে চন্দন কুমার কুণ্ডুর অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিসিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে চন্দন কুমার কুণ্ডু রাত ৩টার দিকে মারা যায়।

এ ব্যাপারে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীস বিশ্বাস জানান, তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে বাবা-ছেলের একাধিকবার পাতলা পায়খানা ও একাধিকবার বমির ঘটনা ঘটে। এতে করে তারা উভয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর পিতা অরুন কুণ্ডু মহাদেবপুরে এবং ছেলে চন্দন কুণ্ডু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

মহাদেবপুর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরো বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ দাহ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত প্রায় দুই মাস আগে ছেলে চন্দন কুণ্ডু কুড়িগ্রাম জেলায় বিয়ে করেন। কিন্তু রোববার ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ডায়রিয়ায় পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।


আরো সংবাদ



premium cement